নিয়ন্ত্রণে আসেনি সুন্দরবনের আগুন

পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের নাংলী ক্যাম্পের আব্দুল্লার টিলা এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে আবারো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ওই আগুন ছড়িয়ে পড়েছে বনের বিশাল এলাকাজুড়ে। গহীন বনে এখনো আগুন জ্বলছে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বন বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আজ বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। তবে পানি স্বল্পতা ও বাতাসের কারণে সন্ধ্যা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি বন বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। তাই রাতভর আগুন জ্বলতে থাকলে তিন একর ছাড়িয়ে আগুনে পুড়ে যাবে আরো কয়েক একর বনভূমির গাছপালা।
বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে লোকালয় থেকে দেড় কিলোমিটার ভিতরে নল বনে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। স্থানীয় প্রায় দুই শতাধিক লোকজন ফায়ার লাইন বসিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও বাতাসের কারণে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আশপাশে।
মঙ্গলবার রাতে আগুন লাগার পর থেকে বুধবার সন্ধ্যায় পর্যন্ত বনের প্রায় তিন একর বনভূমির গুল্ম জাতীয় নল, লতা-পাতা ও গাছপালা আগুনে পুড়ে গেছে।
তবে স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলে, রাতে আগুন লাগলেও বন বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ১৬ ঘণ্টা পর পরদিন দুপুরে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ততক্ষণেই প্রায় তিন একর বনের গাছপালা পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার বিষয়টি বলা যাচ্ছে না। তবে কারণ নির্ণয়ে চাঁদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির দেওয়া প্রতিবেদনে যাদের দোষী সাবস্ত করা হবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ এ ছাড়া বন বাঁচাতে সাধারণ লোকজনের চলাচলে বন্ধ কিংবা সীমিত করা হবে বলেও জানান তিনি।
আগুন নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে শরণখোলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সাব স্টেশন কর্মকর্তা মো. জলিল শিকাদার বুধবার বিকেলে বলেন, ‘এখনো অনেক জায়গাজুড়ে আগুন জ্বলছে। বাতাস ও ধোঁয়ার কারণে আগুন নেভাতে সমস্যা হচ্ছে।’
গত ২৮ মার্চ বনের একই এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তাতে প্রায় দেড় একর বনভূমির গাছপালা পুড়ে যায়।