অভিযুক্তের পর এবার অসুস্থ ভারতীয় আইনজীবী
ভারতের কোচবিহারে বিএসএফের বিশেষ আদালতে বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী হত্যা মামলার পুনর্বিচারের কার্যক্রম শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যে একদিনের জন্য মুলতবি করা হয়েছে। মামলার বিচারকাজে সম্পৃক্ত ভারতীয় আইনজীবী অসুস্থ হওয়ায় নির্ধারিত এ কার্যক্রম পেছাল।
এই নিয়ে আলোচিত এই হত্যা মামলার কার্যক্রম দুবার পেছানো হলো।
২০১৪ সালের ২২ নভেম্বর আদালতে বিচারিক কাজ চলার সময় অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষ অসুস্থ হয়ে পড়ায় চার মাসের জন্য বিচারিক কার্যক্রম মুলতবি করা হয়। এরপর আজ বুধবার সকাল ১০টায় বিচারিক কার্যক্রম শুরুর এক ঘণ্টার মধ্যে তা আবার মুলতবি করা হয়।
কুড়িগ্রাম ৪৫ বিজিবি পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জাকির হোসেন এনটিভি অনলাইনকে জানান, ভারতে বিএসএফের বিশেষ আদালতে ফেলানী হত্যার বিচারকাজ আবার শুরুর ব্যাপারটি বাংলাদেশকে জানিয়েছেন বিএসএফ ৪২ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট ভিপি বাদলা। বিএসএফের অধিকারী সিপি ত্রিবেদির নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বিচারক প্যানেলের বিশেষ আদালত এই মামলার বিচারকাজে অংশ নেন।
বেলা ১২টায় মো. জাকির হোসেন জানান, বিশেষ আদালতের কার্যক্রম শুরুর পর সহকারী প্রসিকিউটর অসুস্থ থাকায় তা মুলতবি ঘোষণা করা হয়েছে।
২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দেন ভারতের কোচবিহারের বিএসএফের বিশেষ আদালত। পরে বিজিবি-বিএসএফের বৈঠকে ফেলানী হত্যার পুনর্বিচারের সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর বিচার আবার শুরু করে বিএসএফ। ২০১৪ সালের ১৭ নভেম্বর ফেলানীর বাবা নূর ইসলাম আদালতে অমিয় ঘোষকে অভিযুক্ত করে পুনরায় সাক্ষ্য দিয়ে অমিয় ঘোষের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া পার হওয়ার সময় বিএসএফের গুলিতে প্রাণ হারায় বাংলাদেশের কিশোরী ফেলানী। এ হত্যাকাণ্ডে দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমসহ মানবাধিকারকর্মীদের মাঝে সমালোচনার ঝড় উঠলে ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট বিএসএফের বিশেষ আদালতে ফেলানী হত্যার বিচারকাজ শুরু হয়।