‘বাঁশখালীর মানুষ কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র চায় না’

প্রস্তাবিত কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্প চট্টগ্রামের বাঁশখালী থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন গণ্ডামারা বসতভিটা ও গোরস্থান রক্ষা কমিটি। আজ মঙ্গলবার বিকেলে গণ্ডামারায় আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি এ আবেদন জানানো হয়।
স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে গণ্ডমারা বসতভিটা ও গোরস্থান রক্ষা কমিটির সমন্বয়কারী লিয়াকত আলী বলেন, ‘বাঁশখালীর জনগণ কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র চায় না। অন্য যেকোনো প্রকল্পকে স্বাগত জানাবে এ জনগণ।’
লিয়াকত আলী জানান, বিদ্যুৎ প্রকল্প করার আগে ভ্রান্ত ধারণার ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদন করা হয়েছে। গণ্ডামারা এলাকায় ১০ হাজার পরিবারের ৫০ হাজার মানুষ বসবাস করে। অথচ সরকারি তথ্যে দেখানো হয়েছে এ এলাকায় ১৫০টি পরিবার বাস করে।
এস আলম গ্রুপ আগামীতে বিদ্যুৎকেন্দ্রের কোনো কাজ করার চেষ্টা করলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার শপথ নেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সমাবেশে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে বিপুলসংখ্যক লোক যোগ দেন।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন তেল গ্যাস ও বন্দর বিদ্যুৎ রক্ষা কমিটির সংগঠক মারুফ রুমি, প্রকৌশলী মাহাবুব সুমন, স্থানীয় বাসিন্দা মো. জাকারিয়া, নুরুল আলম সিকদার ও জাহাঙ্গীর আলম।
প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী গণ্ডামারা এলাকায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে এস আলম গ্রুপ। প্রকল্প নির্মাণের জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে আগে থেকেই প্রকল্প কাজে বাধা দেয় স্থানীয় বাসিন্দারা। এ নিয়ে গত ৪ এপ্রিল ঘটা সংঘর্ষে চার জন নিহত ও অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়।