চট্টগ্রামে ডাকাত সন্দেহে পিটুনিতে নিহত তিন

চট্টগ্রামের উত্তর কাট্টলি এলাকায় ডাকাত সন্দেহে তিন ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে স্থানীয় লোকজন। আজ বুধবার ভোরে বেড়িবাঁধ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কিছুদিন ধরে এলাকায় ডাকাতের উপদ্রব বেড়েছিল। ফলে পুলিশের সঙ্গে মিলে স্থানীয়রা পাহারার ব্যবস্থা করেন। গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে কয়েক ব্যক্তি ডাকাতির প্রস্তুতি নেওয়ার সময় স্থানীয়রা টের পেয়ে যান। পরে তাঁরা চারদিক থেকে ধাওয়া দিয়ে আট ব্যক্তিকে আটক করে গণপিটুনি দেন। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যায়। আহত পাঁচজনকে পুলিশে সোপর্দ করে জনতা।
আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুদীপ কুমার দাস জানান, ওই এলাকায় বেশ কয়েক দিন ধরেই ডাকাতি হচ্ছিল। তাই এলাকাবাসী ও পুলিশ যৌথভাবে পাহারার উদ্যোগ নেয়। গত রাতে ডাকাতির প্রস্তুতি নেওয়ার সময় আটজনকে ধরে ফেলে জনতা। পরে গণপিটুনি দিলে তিনজন মারা যায়। তাদের মধ্যে দুজনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। তারা হলো কুমিল্লার সাগর ও রাসেল। নিহত আরেকজনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ঘটনাস্থল থেকে একটি বন্দুক, একটি এলজি, চারটি কিরিচ, তিনটি গুলি ও একটি হকিস্টিক উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান ওসি। আটক পাঁচজন হলো রুবেল (১৮), আলাউদ্দিন (১৮), মনির হোসেন (১৮), মো. রানা (১৭) ও রুবেল (১৭)। জনতাই তাদের আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় বলে জানান তিনি।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার সঞ্জয় কুমার কুণ্ডু জানান, নিহত দুজনের বাড়িই কুমিল্লায়। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে কুমিল্লা ও বরিশাল এলাকার লোক রয়েছে। লাশগুলো ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, আটক ও গণপিটুনিতে আহত মো. রানার সঙ্গে কথা বললে তিনি এনটিভি অনলাইনকে জানান, তাঁরা সবাই ফিশারিঘাটে মাছের আড়তে কাজ করেন। নিহত সাগর একটি কাজ করার কথা বলে তাঁদের এখানে নিয়ে আসে। তবে কী কাজ, সে সম্পর্কে আগে থেকে তাঁদের বলেনি বলে দাবি তাঁর। গভীর রাতে তাঁদের উপস্থিতি এলাকাবাসী টের পেয়ে গেলে চারপাশ থেকে ঘিরে ধরে তাঁদের গণপিটুনি দেওয়া হয়।