মেহেরপুরে শিশু ধর্ষণ মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন

মেহেরপুরে শিশু ধর্ষণ মামলায় টোকন হোসেন ও তাঁর সহযোগী রহিমা খাতুনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে টোকন হোসেনকে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের জেল এবং রহিমা খাতুনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার মেহেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রবিউল হাসান এ রায় দেন।
দণ্ডাদেশ পাওয়া টোকন হোসেনের বাড়ি মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামে। রহিমা খাতুনের বাড়ি একই উপজেলার মোনাখালী গ্রামে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১ এপ্রিল সন্ধ্যায় রহিমা খাতুন তাঁর নাতনি সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে বাজারে নিয়ে যাওয়ার নাম করে দারিয়াপুর গ্রামের টোকন হোসেনের ঘরে নিয়ে যান। টোকন মেয়েটিকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। এ সময় মেয়েটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরের দিন মেয়েটির বাবা মুজিবনগর থানায় টোকন ও রহিমাকে আসামি করে ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওই দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় ১৫ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর পল্লব ভট্টাচার্য এবং আসামি পক্ষে ইব্রাহীম শাহীন ও শহিদুল ইসলাম দায়িত্ব পালন করেন।