দুই বার গণিতে ফেল, ছাত্রীর আত্মহত্যা

মেহেরপুর সদর উপজেলার শোলমারী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে এ বছর এসএসসিতে শুধু গণিত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল দীপালি দাস (১৭)। গতকাল বুধবার ফলাফল প্রকাশের পর দেখা যায়, সে অকৃতকার্য হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে সে।
সদর উপজেলার শোলমারী গ্রামের স্বজন দাসের মেয়ে দীপালি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বছর এসএসসি পরীক্ষার আগে সদর উপজেলার পাটকেল পোত গ্রামের তাপস দাস নামের এক যুবকের সাথে দিপালীর বিয়ে দেয় তার পরিবার। বিয়ের পর পরই এসএসসি পরীক্ষা শুরু হলে সে গণিত বিষয়ে ফেল করে। চলতি বছরে আবারও সে ওই বিষয়ে পরীক্ষা দেয়। গত বুধবার এসএসসি পরীক্ষা ফল প্রকাশ হলে সে এবারও পাস করতে পারেনি। সেই অভিমানে বৃহস্পতিবার সকালে পরিবারের লোকজনের অগোচরে তার দাদির শোবার ঘরের চালায় গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে সে।
দিপালীর বাবা স্বজন দাস বলেন, পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর থেকে সবাই তার দিকে খেয়াল রাখছিল। আজ সকালে একটু সুযোগ পেয়েই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে দিপালী।
শোলমারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান বলেন, চলতি বছরে তার বিদ্যালয় থেকে ৩১ জন ছাত্রী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। তাদের মধ্যে দিপালী ছাড়া সবাই পাস করেছে। সেই অভিমানেই সম্ভবত সে আত্মহত্যা করেছে। তিনি বলেন, দিপালী মোটামুটি মানের ছাত্রী ছিল। সে জেএসসি পরীক্ষায় একবারেই ভালো রেজাল্ট করে পাস করেছিল। কিন্তু গত বছর পরীক্ষার আগে তার বিয়ে হওয়ার কারণে সে আর লেখাপড়ায় মনোযোগী হতে পারেনি। এ কারণেই পরপর দুবার সে ফেল করেছে বলে ধারণা করছেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেহেরপুর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন করা হয়েছে। নিহত দীপালির পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাদন্ত ছাড়াই লাশ সৎকারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।