সম্প্রীতি রক্ষা নজরুলের দর্শন প্রাসঙ্গিক

দেশে ধর্মীয় উগ্রবাদ উত্থানের এ সময়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের দর্শন অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক বলে জানিয়েছেন কবির জন্মজয়ন্তীর প্রধান অনুষ্ঠানের বক্তারা।
আজ বুধবার চট্টগ্রাম এম এ আজিজ আউটার স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হয় জাতীয় পর্যায়ে কাজী নজরুল ইসলামের ১১৭তম জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠান। বেলা সাড়ে ১১টায় সমবেত জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এখন থেকে কবির স্মৃতিধন্য দেশের সব এলাকায় পর্যায়ক্রমে জন্মজয়ন্তী উৎসব আয়োজন করবে। চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো নজরুলকে নিয়ে এ ধরনের উৎসবের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের স্মারকবক্তা কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন জানান, নজরুল ছিলেন সাম্যের কবি। শান্তির পাশাপাশি হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য কলম ধরেছিলেন তিনি। বর্তমান বিশ্বের বিভিন্ন দেশসহ বাংলাদেশে ধর্মীয় উগ্রবাদের এ সময়ে নজরুল দর্শন উত্তরণের পথ হতে পারে বলে মনে করেন অনুষ্ঠানের স্মারক বক্তা।
চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো এই আয়োজনে উদ্বেলিত নগরবাসী। সরকারের এ সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জনপ্রতিনিধিরা। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন চট্টগ্রামবাসীর পক্ষ থেকে সরকার ও সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার থাকলেও তিনি আসতে পারেননি। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছিল দুপুরের পর বৈরী আবহাওয়া থাকবে। এ কারণে রাষ্ট্রপতির সফর বাতিল করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিসহ বিপুলসংখ্যক দর্শক। বিশেষ করে সমগ্র আয়োজনটিকে ঘিরে উদ্বেলিত ছিলেন কবি পরিবারের সদস্যসহ সংগীত অনুরাগী ও নজরুল সংগীতশিল্পীরা।
কাজী নজরুলের পৌত্রী খিলখিল কাজী বলেন, দাদু অনেক উল্লেখযোগ্য রচনা চট্টগ্রামে বসে করেছেন। সে জন্য চট্টগ্রাম তাদের পরিবারের খুবই প্রিয়। এখানে আসতে পেরে ভালো লাগছে।
অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বের পরিবেশনায় অংশ নেন নজরুলসংগীতশিল্পী ও কবির সৃষ্টিসম্ভারের অনুরাগীরা।