সুন্দরবনের দুই ‘আগুনদস্যু’ গ্রেপ্তার

সুন্দরবনে একের পর একে আগুনের ঘটনায় দায়ের করা মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা। তাঁরা ভারতে পালিয়ে যাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে।
আজ বুধবার দুপুরে মংলা-খুলনা মহাসড়কের কাটাখালীর মোড়ে একটি বাসে অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা হলেন মাসুম হাওলদার ও ইব্রাহিম হাওলাদার।
যশোরের বেনাপোলগামী একটি পরিবহনে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব জানায়, সুন্দরবনের মিঠা পানির বিলে অবৈধভাবে মাছ শিকারের জন্য আগুন দিয় সেখানকার বনভূমি পরিষ্কার করে গ্রেপ্তার হওয়া আগুনদস্যুরা।
র্যাব ৬-এর কর্মকর্তা কামান্ডার লেফটেন্যান্ট জাহিদ জানান, পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা উপজেলার উত্তর রাজাপুর গ্রামের মাসুম হাওলাদার ও ইব্রাহিম হাওলাদার যশোরের বেনাপোলগামী একটি বাসে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। গোপন সংবাদ পেয়ে র্যাবের একটি দল আজ দুপুরে কাটাখালী মোড়ে ওই বাসে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সুন্দরবনে পরিকল্পিতভাবে আগুন দেওয়ার ঘটনায় শরণখোলা থানায় গত ১৯ এপ্রিল দায়ের করা মামলায় মাসুম হাওলাদারকে আসামি করা হয়। এ ছাড়া গত ১ মে একই থানায় দায়ের করা আরেক মামলায় ইব্রাহিম হাওলাদারকে আসামি করা হয়।
পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশন এলাকায় গত ২৭ মার্চ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত মাত্র এক মাসে চার বার পরিকল্পিতভাবে আগুন দিয়ে বন পুড়িয়ে দেওয়া ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশন কর্মকতা সুলতান মাহমুদ বাদী হয়ে বাগেরহাটের আদালত ও শরণখোলা থানায় দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেন। সে সময় দায়িত্বে অবহেলার দায়ে ধানসাগর স্টেশন কর্মকতা সুলতান মাহমুদসহ তিন বনরক্ষী বরখাস্ত হন।
এদিকে বারবার সুন্দরবনে আগুন লাগার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বনে প্রবেশের সব ধরনের পাস পারমিট বন্ধ করে দেয় বন বিভাগ। এর ফলে বন নির্ভরশীল উপকূলের কয়েক লাখ মানুষ এখন কাজের অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছে।