সুন্দরবনে তিন হাজার মুনিয়া অবমুক্ত

সুন্দরবন থেকে চোরা শিকারীদের জালে আটক হওয়া বিরল প্রজাতির প্রায় তিন হাজার মুনিয়া পাখি উদ্ধার করেছে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার বাঁধাল বাজারের আব্দুল জলিলের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এসব পাখি উদ্ধার করা হয়। এ সময় কাউকে আটক করা যায়নি। উদ্ধার হওয়া পাখিগুলো বিকেলে বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র এলাকায় অবমুক্ত করা হয়েছে।
খুলনা সার্কেলের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের পরিদর্শক রাজু আহমেদ জানান, আজ দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আব্দুল জলিলের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় বাড়ির লোকজনসহ চোরা শিকারীরা অভিযানকারীদের উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
পরে বাড়ির একটি ঘর থেকে মুনিয়া পাখিগুলো উদ্ধার করা হয়। এতে প্রায় তিন হাজার মুনিয়া ছাড়াও দুটি টিয়া ও চারটি ঘুঘু ছিল। পরে সেগুলো অবমুক্ত করা হয়।
পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, অন্যান্য প্রাণীর পাশাপাশি বিরল প্রজাতির মুনিয়াসহ ৩১৫ প্রজাতির পাখির বসবাস সুন্দরবনে। চোরা শিকারিরা দীর্ঘদিন এসব পাখি সুন্দরবন থেকে জাল পেতে ধরে এনে গোপনে দেশের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করে আসছে। সুন্দরবনের গহীনে চোরা শিকারিরা এসব পাখি শিকার করায় দিন দিন তা কমে যাচ্ছে। এই পাখিশিকারী চক্রকে সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্য আমরা জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।