খুলনার রূপসা উপজেলার ঘাটভোগ ইউনিয়নের  নির্বাচন হচ্ছে আজ। প্রথম ধাপে এ ইউনিয়নে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও সীমানা জটিলতার কারণে তা শেষ ধাপে হচ্ছে।

শনিবার সকালে ইউনিয়নের নারকেল চাদঁপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, পিঠাভোগ ডিজিসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে নারীদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। তবে এসব কেন্দ্রে কোথাও বিএনপি প্রার্থী কোনো পোলিং এজেন্ট পাওয়া যায়নি।

খুলনা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা অভিযোগ করেন, গতকাল শুক্রবার রাতেই তাঁদের সব পোলিং এজেন্টকে হুমকি দিয়ে এলাকাছাড়া করা হয়েছে। 

জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান ও জেলা পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান জানান, খুলনায় ঘাটভোট ইউনিয়নে সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ চলছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

নারকেল চাদঁপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি বুথের ভিতর দুজন করে একসঙ্গে ভোট দিতে দেখা যায়। ক্যামেরা নিয়ে ঢুকতে গেলেই এক উপপরিদর্শক (এসআই) বাধা দিয়ে বলেন, পুলিশ সুপারের নির্দেশ রয়েছে কোনো ভোটকেন্দ্রের ভিতর ক্যামেরা নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, ঘাটভোগ ইউনিয়নে মোট ভোটার ২৫ হাজার ৪১৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১২ হাজার ৮৬০ জন এবং নারী ভোটার ১২ হাজার ৫৫৫ জন। এ ইউনিয়নে মোট ভোটকেন্দ্র ১১টি।

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চারজন। এঁরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাধন কুমার অধিকারী, স্বতন্ত্র (আওয়ামী বিদ্রোহী/বহিষ্কৃত) মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামান মিজান, দল বিএনপি মনোনীত কে এম কামরুজ্জামান ওরফে জুয়েল রানা এবং জাসদ মনোনীত মো. ওলিয়ার রহমান জমাদ্দার।

এ ছাড়া সাধারণ সদস্য ৯টি পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ৪৯ জন। এর মধ্যে একজন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। অপরদিকে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য তিনটি পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ১৪ জন।