চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ভাণ্ডাররক্ষক জেলহাজতে

চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জেলা রিজার্ভ স্টোরের ভাণ্ডাররক্ষক (স্টোরকিপার) এ কে এম ফজলুল হককে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ সোমবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন কার্যালয় এলাকা থেকে ফজলুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জেলা রিজার্ভ স্টোরের সরকারি ওষুধ আত্মসাৎ ও আত্মসাতে সহায়তায় তৎকালীন সিভিল সার্জন নাজমুল হক ও ভাণ্ডাররক্ষক এ কে এম ফজলুল হকের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। অনুসন্ধানে দুদক দেখতে পায়, তারা ২২ লাখ ৮০ হাজার টাকা মূল্যের ওষুধ ঢাকা থেকে গ্রহণ করে তা চুয়াডাঙ্গা রিজার্ভ স্টোরে মজুদ না করে বিক্রি করে দেন।
এই অভিযোগে দণ্ডবিধির ৪০৮/১০৯ এবং ১৯৭৪ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় ২০১৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর মামলা করা হয়। দুদকের কুষ্টিয়া সমন্বিত কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক শহীদুল ইসলাম মোড়ল বাদী হয়ে মামলাটি করেন। তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান মুন্সী মামলাটি গ্রহণ করেন।
এদিকে চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি দুদক খুলনা বিভাগীয় কার্যালয় মামলাটি তদন্তের জন্য দুদকের কুষ্টিয়া সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক আবদুল গাফ্ফারকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।
তদন্ত কর্মকর্তা আবদুল গাফ্ফার জানান, মামলার প্রধান আসামি বরখাস্ত হওয়া সিভিল সার্জন নাজমুল হক পলাতক রয়েছেন। তাঁকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
২০০৫-২০০৬ অর্থ বছরে ওই দুর্নীতির ঘটনা ঘটে। ওই সময় নাজমুল হক জেলার সিভিল সার্জন হিসেবে চুয়াডাঙ্গায় কর্মরত ছিলেন। দুর্নীতির অভিযোগে ওই সময় তিনি বরখাস্ত হন। তাঁর বাড়ি সিলেট জেলায়। এ কে এম ফজলুল হকের সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ইছাপুর গ্রামে। বর্তমানে তিনি সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে একই পদে কর্মরত।