রেকর্ডরুমের গ্রিল কাটা, থানায় জিডি

গাজীপুরের সাব-রেজিস্ট্রি কার্যালয়ের একটি কক্ষের গ্রিল ও নেট কাটা অবস্থায় পাওয়া যায়। ওই কক্ষটি দলিলের কপি রাখার রেকর্ডরুম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে রেকর্ডরুম থেকে কোনো কপি সরানো হয়েছে কি না তা এখনো বলতে পারছেন না সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
গতকাল রোববার বিকেলে গ্রিল কাটা ওই অবস্থা দেখতে পান কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। আজ সোমবার জয়দেবপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
রেকর্ড রুমে কর্মরতদের সহায়তায় দুর্বৃত্তরা পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে এক কর্মচারীকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।
গাজীপুর সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের রেকর্ড কিপার মো. আব্দুর রব বলেন, রোববার বিকেল চারটার দিকে গাজীপুর মহানগরের ছায়াবীথি এলাকার সিনা হাসপাতালের পাঁচ তলায় রেকর্ড রুমের নেট, গ্রিল ও স্টিলের নেট কাটা এবং হালকা ভাবে লাগানো অবস্থায় দেখতে পান রেকর্ড সহকারী আব্দুল মজিদ।
আজ সোমবার গাজীপুর সদর সাব-রেজিস্ট্রারের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কাপাসিয়া অফিসের সাব-রেজিস্ট্রার ওয়াসিম কল্লোল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। গাজীপুর সদরের সাব-রেজিস্ট্রার মো. মুজাহিদুল প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়ায় অন্য কর্মকর্তা কাপাসিয়া অফিসের সাব-রেজিস্ট্রার ওয়াসিম কল্লোল রবিবার ও সোমবার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেছেন।
গাজীপুর সদর সাব-রেজিস্ট্রারের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা কাপাসিয়া অফিসের সাব-রেজিস্ট্রার ওয়াসিম কল্লোল বলেন, ‘পাঁচ তলার ওই রেকর্ড রুমটি জেলা রেজিস্ট্রি অফিসের ভিতরে অবস্থিত। দলিলের এ রেকর্ডরুমে অনেক মূল্যবান রেকর্ড রয়েছে। এটি জনগণের সম্পত্তি। ওই রেকর্ডরুমে যেতে হলে কলাপসিবল গেইটের তালা খুলে যেতে হয়। আর এ গেইটের চাবি নাইট গার্ডের কাছে গচ্ছিত থাকে। কিন্তু ওই ঘটনায় রেকর্ডরুমের গ্রিল ও স্টিলের নেট দুর্বৃত্তরা কেটে ফেললেও কলাপসিবল গেইটের তালা অক্ষত রয়েছে। দলিলের রেকর্ডরুম জনগণের সম্পত্তি, এখানে অনেক মূল্যবান রেকর্ড রয়েছে।’
ওয়াসিম কল্লোল আরো বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। রেকর্ডরুমের দায়িত্ব প্রাপ্তদের ছাড়া এখানে বাইরের কেউ এসে কিছুই বুঝবে না। ওই রুমে দুই লাখলেরও বেশি ভলিউম আছে। দুর্বৃত্তরা সেখান থেকে কোন দলিলের ভলিউম চুরি অথবা জালিয়াতি করেছে কি না, তা পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ছাড়া প্রাথমিকভাবে বলা সম্ভব নয়।’ তিনি আরো জানান, রেকর্ডরুমের কর্মরতদের সহায়তায় কোনো দুর্বৃত্তচক্র পরিকল্পিত ভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে নাইটগার্ড কাওসারকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হাসান বলেন, ‘এ ব্যাপারে একটি জিডি করা হয়েছে। আমরা খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করেছি।’