মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা, জিআরপির ওসিসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা
রেল পুলিশের নির্যাতনে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল বারিক বারী নিহতের ঘটনায় জামালপুর জংশন স্টেশনের স্টেশনমাস্টার মো. তারিককে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার রেল কর্তৃপক্ষ তাঁকে প্রত্যাহার করে।
এদিকে আবদুল বারিকের মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর বড় ছেলে মুকুল ইসলাম জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌর চন্দ্র মজুমদারসহ চারজনকে আসামি করে জামালপুর জিআরপি থানায় মামলা করেছেন। এতে রেলপুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সোহরাব ও কনস্টেবল তপন বড়ুয়া এবং জামালপুর রেলস্টেশনের টিকেট কালেক্টর আনিসুর রহমানকেও আসামি করা হয়েছে।
জামালপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম খোকা জানিয়েছেন, মুক্তিযোদ্ধা নিহতের ঘটনায় কাল বুধবার কালো ব্যাজ ধারণ ও বৃহস্পতিবার এই হত্যার ঘটনায় জড়িত জিআরপি থানার ওসি গৌর চন্দ্র মজুমদারসহ দোষী পুলিশের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা হত্যার ঘটনায় জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাসেল সাবরিনকে প্রধান করে গঠিত তদন্ত কমিটি আজ মঙ্গলবারও ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও তদন্তকাজ করেন। এ ছাড়া রেলওয়ে পুলিশের সুপার নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আজ আসরের নামাজের পর হাটচন্দ্রা মসজিদ মাঠে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সেনাসদস্য আবদুল বারিক বারীর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
এ সময় জামালপুরের জেলা প্রশাসক মো. শাহাবুদ্দীন খান, পুলিশ সুপার মো. নিজাম উদ্দিন, জামালপুর পৌরসভার মেয়র মির্জা সাখাওয়াতুল আলম মণি, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার শফিকুল ইসলাম খোকা, সাবেক মেয়র অ্যাডভোকেট ওয়ারেছ আলী মামুনসহ মুক্তিযোদ্ধা ও বিপুলসংখ্যক মানুষ অংশ নেয়।
গতকাল সোমবার জামালপুর জংশন স্টেশনে জামালপুর জিআরপি থানার ওসির উপস্থিতিতে পুলিশ মুক্তিযোদ্ধা আবদুল বারিক বারীকে পিটিয়ে আহত করে। পরে ময়মনসিংহে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়ার পর তিনি মারা যান।