ইউপি ভবনের জানালা খুলে নিয়ে গেছেন পরাজিত প্রার্থী
জামালপুর সদর উপজেলার তিতপল্লা ইউনিয়ন পরিষদের দোতলা ভবনের ১৫টি কক্ষের ২৯টি জানালা খুলে নিয়ে গেছেন আওয়ামী লীগের দলীয় পরাজিত চেয়ারম্যানপ্রার্থী আজিজুর রহমান। এর ফলে ভবনের প্রতিটি কক্ষের কাগজপত্র, মূল্যবান মালামাল, সার্ভার কক্ষ সবই অরক্ষিত হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, থাই অ্যালুমিনিয়ামের জানালার একটিও কাচ নেই। দেয়াল ভেঙে জানালাগুলো খুলে নেওয়া হয়েছে। গ্রাম আদালতের বিচারকক্ষে একটিও চেয়ার নেই। এলাকাবাসীর অভিযোগ, পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আজিজুর ২৯টি কাঁচের জানালা, ২৫টি চেয়ার ও একটি ২১ ইঞ্চি রঙিন টেলিভিশন নিয়ে গেছেন।
এ ব্যাপারে বর্তমান চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশিদ সেলিম বলেন, ‘আমি গত ১১ জুলাই দায়িত্ব নিতে এসে দেখি ভবনের একটি জানালাও নেই, চেয়ার নেই, বিচারকক্ষের আর বাথরুমের কমোড ভাঙা।’ তিনি অভিযোগ করেন, সাবেক চেয়ারম্যান এগুলো খুলে নিয়েছেন। ভবনের জানালা না থাকায় ইউনিয়ন পরিষদের কাগজপত্রসহ মূল্যবান সমস্ত মালামাল অরিক্ষত রয়েছে।
এ ব্যাপারে সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ইউনিয়ন পরিষদের দ্বিতল ভবনের কাজ চলমান আছে। এটি বাস্তবায়ন করছে উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়। প্রকল্পের নকশায় রড ও কাঠের জানালা লাগানোর কথা আছে। তিনি বলেন, ‘আমি কাঠের বদলে ডিজাইন পাল্টে থাই জানালা লাগানোর জন্য এলজিইডির (স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ) চিফ ইঞ্জিনিয়ার বরাবর আবেদন করে থাই অ্যালুমিনিয়ামের কাচের জানালা লাগিয়েছিলাম। কিন্তু আমার আবেদন গ্রহণ করা হয়নি। নির্বাচনের পরে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার আমার লাগানো থাই জানালা খুলে নিতে নির্দেশ দিলে আমি সেগুলো খুলে নিয়েছি।’ চেয়ার ও টিভি নিয়ে যাওয়ার বিষয় তিনি অস্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলার ইঞ্জিনিয়ার শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান ডিজাইন বদলানোর আবেদন করে থাই গ্লাস লাগিয়েছিলেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাঁর আবেদন গ্রহণ করেনি। আমরা তাঁকে জানিয়ে দিয়েছি, ডিজাইন পরিবর্তন সম্ভব নয় এবং কাঠের পরিবর্তে থাই গ্লাসের জানালার বিল দেওয়াও সম্ভব নয়। তাই তাঁকে থাই জানালা খুলে নিতে বলেছি।’ তিনি বলেন, ‘আগস্টের মধ্যে আমরা প্রকল্পের ডিজাইন অনুযায়ী রড ও কাঠের জানালার কাজ সম্পন্ন করব।’