নদীর প্রকৃতি পরিবর্তন করা যাবে না

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মো. আতাহারুল ইসলাম বলেছেন, নদীর প্রকৃতি পরিবর্তন করা যাবে না, নদী তীরের খাসজমি দখল মুক্ত করতে হবে। নদী ও উন্মুক্ত খাল কোনো অবস্থাতেই ইজারা দেওয়া যাবে না।
আজ রোববার বিকেলে খুলনা সাকির্ট হাউজের সম্মেলন কক্ষে জেলা নদী রক্ষা কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন চেয়ারম্যান।
মো. আতাহারুল ইসলাম বলেন, উপজেলা কমিটি খুলনায় মৃতপ্রায় নদীকে চিহ্নিত করে সীমানা নির্ধারণ করবে। খুলনার ৫২টি নদী পুনরুদ্ধার ও পুনর্জীবিত করতে নদীগুলোর সীমানা চিহ্নিত করে সিএস বা আরএস ম্যাপ সংরক্ষণ করতে জেলা প্রশাসককে অনুরোধ করেন তিনি।
এ সময় নদীর পরিধি বৃদ্ধি করতে এবং নাব্যতা রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকেও অনুরোধ করেন চেয়ারম্যান। এ সময় তিনি স্থানীয় সরকার বিভাগকে নদীর মধ্যে সেতু ও ক্রসবাঁধ ভাঙতে এবং নদীর পাশ ওয়াকওয়ে নির্মাণ করার জন্য সুপারিশ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সদস্য মো. আলাউদ্দিন, পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান, কেসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোকুল কৃষ্ণ ঘোষ এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন। এতে সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান।
এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ জেলা নদী রক্ষা কমিটির সংশ্লিষ্ট সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
দুপুরে চেয়ারম্যান খুলনা রুজভেল্ট জেটি ও নদী বন্দরের বিপরীতে স্থাপিত ইটের ভাটা, অবৈধ দখল ও অবকাঠামো সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।