খুবির বিভিন্ন স্থানে সিসি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের ঠাঁই হবে না। ক্যাম্পাসকে যেকোনো মূল্যে এসব কর্মকাণ্ড থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত রাখতে হবে। এ জন্য সম্মিলিতভাবে প্রচেষ্টা চালানোসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুরে এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক প্রধানদের সঙ্গে উপাচার্যের মতবিনিময় সভা হয়। সভায় দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিসহ সরকারি নির্দেশনা অবহিতকরণ, একাডেমিক কার্যক্রম ও ঈদ-পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করা হয়।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, ডিসিপ্লিনের প্রধান, ছাত্রবিষয়ক পরিচালক, প্রভোস্টসহ একাডেমিক সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিভাগীয় প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
সভার শুরুতে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলায় ধর্ম-বর্ণসহ যেসব দেশি-বিদেশি নাগরিক নিহত হন, তাঁদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক এস এম আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান বলেন, ‘গুলশান ও শোলাকিয়া হামলার ঘটনায় এবার ঈদের আনন্দ ম্লান করে দিয়েছে। দেশ ও জাতি হিসেবে আমাদের গড়ে ওঠা দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যের ওপর আঘাত এসেছে। স্বাধীন, সার্বভৌম, সভ্য দেশ হিসেবে এটা আমাদের কাছে সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত। আমরা এই জঘন্য হামলার নিন্দা জানাই। এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারলে আমরা যাঁরা দেশকে ভালোবাসি, তাঁরা কেউ নিরাপদে থাকতে পারব না। একান্তভাবে ধর্ম পালন, শিক্ষা গ্রহণসহ কোনো পেশাই এবং কোথাও নিরাপদে থাকা যাবে না।’
উপাচার্য বলেন, ধর্ম কোনো উসকানিমূলক কথা বলে না। শান্তি ও কল্যাণের কথা বলে। কিন্তু ধর্মের নামে আজ যা করা হচ্ছে, এতে পবিত্র ধর্মকেই অবমাননা করা হচ্ছে।
সভায় বিস্তারিত আলোচনার পর সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু করা, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ক্লাসে ক্লাসে কাউন্সেলিং করা, একাডেমিক সব স্তরে ও আবাসিক হলে নিয়মিত মনিটরিং জোরদার করা, একাডেমিক ভবন, আবাসিক হল ও গেস্টহাউসে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা জোরদার করা, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ যে কারো বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ সম্পৃক্ততা, মদদদান, উৎসাহদানসহ এ ধরনের অপতৎপরতার কোনোরকম সংশ্লিষ্টতা পেলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে সবাই একমত পোষণ করেন।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরিচয়পত্র রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ ছাড়া সভায় একাডেমিক বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আলোচনা করা হয়।