মোংলা বন্দরে শুল্ক গোয়েন্দাদের চালানো অভিযান ‘অপারেশন আইরিনে’ ঘোষণা বহির্ভূতভাবে আনা দুই কন্টেইনার পণ্য আটক করা হয়েছে।

চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিচালক খালেদ মাহমুদ আবু হোসেন বন্দর জেটি ও ইয়ার্ডে থাকা বেশ কয়েকটি কন্টেইনার খুলে তাতে থাকা মালামাল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন এবং তল্লাশি চালান। 

এ সময় নোয়াখালীর প্রাইম হসপিটাল লিমিটেড ও ঢাকার মিম ট্রেডার্সের আমদানি করা আলাদা দুটি কন্টেইনারে ঘোষণা বহির্ভূতভাবে আমদানি করা সিরিঞ্জ, মাস্ক, মশার কয়েল, স্প্রে, পাউডারসহ বিভিন্ন সামগ্রী আটক করা হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আটক পণ্যের সঠিক পরিমাণ ও মূল্য জানাতে পারেননি অভিযান পরিচালনাকারীরা।

পণ্যের কায়িক পরীক্ষা শেষে মালের সঠিক পরিমাণ ও দাম নির্ধারণ করা হবে বলে জানান তাঁরা। 

শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিচালক খালেদ মাহমুদ আবু হোসেন বলেন, এ প্রতিষ্ঠান দুটি কম দাম দেখিয়ে বেশি দামের ঘোষণা বহির্ভূত পণ্য আমদানি করেছে। তাদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

গতকাল বুধবার থেকে শুরু হওয়া এ অভিযান আগামী শনিবার শেষ হবে বলে জানিয়েছেন খুলনা শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের উপপরিচালক মোহাম্মদ জাকির হোসেন।
অভিযানের প্রথম দিন গতকাল দুটি কনটেইনার খুলে তার মধ্যে কোনো পণ্য পাওয়া যায়নি। অথচ নথি অনুযায়ী, ওই দুটি কনটেইনারে গার্মেন্টসপণ্য আমদানি করার কথা ছিল। 

আজকের অভিযানে খুলনা শুল্ক গোয়েন্দার উপপরিচালক মোহাম্মদ জাকির হোসেন ও মংলা কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার জাহাঙ্গীর হোসেনসহ শুল্ক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

এর আগে গতকাল চট্টগ্রাম বন্দরে শেষ হয় দুদিনের অপারেশন ‘আইরিন’। তবে এই অভিযান থেকে তেমন কোনো কিছুই পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে কাস্টমসের গোয়েন্দা শাখা।