তারেক রহমানের রায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত

মুদ্রা পাচার মামলায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাজার প্রতিবাদে খুলনায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে মহানগর বিএনপি।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরীর কে ডি ঘোষ রোডে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বক্তারা বলেন, নিম্ন আদালতে যে মামলা আগেই নিষ্পত্তি হয়ে গেছে, সেই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দেওয়া নজিরবিহীন ঘটনা।
রায়কে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উল্লেখ করে বিএনপি নেতারা বলেন, বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করা, খালেদা জিয়াকে পারিবারিকভাবে নিঃসঙ্গ করার সুগভীর ষড়যন্ত্র এবং ব্যক্তি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও চরিত্র হননের অসৎ অভিপ্রায়ে আওয়ামী লীগ সরকার দুদককে কাজে লাগিয়েছে।
বিএনপি নেতাদের নির্বাচনে অযোগ্য করে একতরফা ভোট আয়োজনের নীলনকশা করছে সরকার- এ ধরনের অভিযোগ এনে সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঠেকাতে ব্যর্থ হয়ে সরকার জনগণের দৃষ্টি ফেরাতে এ মুহূর্তে রায় ঘোষণা করে নতুন করে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। বিএনপি দেশের কোটি জনতার আশা আকাঙ্ক্ষার কেন্দ্রস্থল। কোনো ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত চালিয়ে এই দলকে নিঃশেষ করা যাবে না।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন কেসিসির মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম, সৈয়দা নার্গিস আলী, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশারফ হোসেন, সিরাজুল ইসলাম মেঝো ভাই, সেকেন্দার জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, স ম আব্দুর রহমান, ফখরুল আলম, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট ফজলে হালিম লিঠন, আরিফুজ্জামান অপু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, শফিকুল আলম তুহিন, আজিজুল হাসান দুলু, আব্দুর রহিম বক্স দুদু, মুজিবর রহমান, আজিজা খানম এলিজা, শেখ সাদী, এস এম কামাল হোসেন প্রমুখ।
এর আগে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানা থেকে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে এসে যোগ দেয়।
এর আগে আজ সকালে অর্থ পাচার মামলায় তারেক রহমানের সাত বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাঁকে ২০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মুদ্রা পাচারের এই মামলায় জজ আদালত তারেক রহমানকে খালাসের রায় দিয়েছিলেন।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে নিম্ন আদালতের দেওয়া সাত বছরের কারাদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে। তাঁর জরিমানা ৪০ কোটির পরিবর্তে ২০ কোটি টাকা করা হয়েছে।