‘আল্লাহু আকবর ধ্বনি দিয়ে জঙ্গিরা হামলা চালায়’

রাজধানীর কল্যাণপুরের ভবন থেকে ‘জঙ্গিরা’ আল্লাহু আকবর ধ্বনি দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায় বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
অপরদিকে ওই বাসিন্দাদের অনেকেই এই ভবন থেকে ‘আল্লাহু আকবর’, ‘নারায়ে তাকবির’ ইত্যাদি ধ্বনি শুনতে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে কল্যাণপুরের ওই ভবনের অপারেশন শেষ করে ডিএমপি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘ভবনের পাঁচতলা থেকে জঙ্গিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। পরে দ্রুত ডিসির (মিরপুর) নেতৃত্বে পুলিশ এই বাড়িটি ঘিরে ফেলে।
সন্ত্রাসীরা ভেতর থেকে আল্লাহু আকবর ধ্বনি দিয়ে পুলিশের ওপর গুলি বর্ষণ করতে থাকে এবং বোমা মারতে থাকে।’
‘একপর্যায়ে বাড়ির পেছন দিকে টিনের চালার ওপর দুই জঙ্গি লাফ দিয়ে পড়ে এবং তারা পুলিশের ওপর বোমা হামলা চালায়। তখন পুলিশও গুলি করে। তখন একজন আহত হয়। তার নাম হাসান। তাকে আটক করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে’, যোগ করেন ডিএমপি কমিশনার।
এ দিকে ওই ভবনের পাশের বাড়ির তৃতীয় তলায় থাকা নাফিজ উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি আজ বিকেলে বলেন, ‘গভীর রাতে ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর দেখি গুলি আর বোমা বিস্ফোরণের শব্দ। ওই ভবন থেকে আল্লাহু আকবর, নারায়ে তাকবির এ ধরনের কথা জোরে জোরে বলছিল কয়েকজন।’
এর আগে গত রাতেই মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ভুঁইয়া মাহবুব সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাত দেড়টার দিকে ৫ নম্বর সড়কের জাহাজ বিল্ডিং থেকে ইসলামের শত্রু নিপাত যাক, আল্লাহু আকবর- এসব বলেই পুলিশের ওপর গুলি চালানো হচ্ছিল।’
স্থানীয়রা ও পুলিশ জানায়, গতকাল মঙ্গলবার রাতে কল্যাণপুরের ‘তাজ মঞ্জিল’-এ অভিযান চালায় পুলিশ। ছয়তলা এই ভবনটির মালিক আতাহার উদ্দিন আহমেদ। ওই ভবনের পাঁচতলায় ‘জঙ্গিরা’ থাকত। গত ২০ জুন ‘জঙ্গিরা’ এই বাসায় ওঠে এবং হামলার পরিকল্পনা করে। ভোরে পুলিশের অভিযান ‘অপারেশন স্টর্ম-২৬’-এ নয় ‘জঙ্গি’ নিহত হয়।
ডিএমপি কমিশনার জানান, হামলার পর ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ১৩টি স্থানীয়ভাবে তৈরি গ্রেনেড ১৯টি ডেটোনেটর, ৭.৬২ বোর রাইফেল, কিছু ম্যাগাজিন, তলোয়ার, ছুরি, হাতুড়ি, চাপাতি, আল্লাহু আকবর লেখা দুটি কালো পতাকা, গুলি ও বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে ।
সর্বশেষ, আজ বিকেল ৪টায় লাশ সরানোর কাজ শুরু হয়।