কুড়িগ্রামে পানি কমলেও দুর্ভোগ কমেনি বানভাসি মানুষের
নদ-নদীর পানি কমতে থাকায় কুড়িগ্রামে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ঘরে ফিরতে পারছেন না চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চলের বন্যাদুর্গতরা।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহফুজুর রহমান জানান, কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি হ্রাস পেতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি ২২ সেন্টিমিটার ও সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যাদুর্গত দেড় লাখ পরিবারের জন্য জেলায় খোলা হয়েছে ৫৩টি আশ্রয়কেন্দ্র। ফলে স্থান সংকুলান না হওয়ায় খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে বেশিরভাগ পরিবার। এ কারণে জেলায় আরো আশ্রয়কেন্দ্র বাড়ানোর দাবি করেছেন বন্যাদুর্গতরা।
সরকারি ও বেসরকারিভাবে ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত থাকলেও এবারের বন্যাকবলিত ছয় লাখ মানুষের মধ্যে বেশির ভাগের ভাগ্যেই তা জুটছে না। সবখানেই চলছে ত্রাণের জন্য হাহাকার।
এদিকে, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন জানান, জেলায় বন্যার্তদের জন্য সরকারি ও বেসরকারি ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এ পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩৮ লাখ টাকা, এক হাজার ২৭৫ টন চাল এবং দুই হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
দীর্ঘ সময় ধরে বাঁধে, পাকা সড়কে ও খোলা মাঠে আশ্রয় নেওয়া বানভাসি মানুষ নিজেদের খাদ্য সংকটের পাশাপাশি পড়েছেন বিশুদ্ধ খাবার পানি ও গো-খাদ্যের সংকটে। একবেলা খেয়ে-না-খেয়ে দুর্বিষহ দিন কাটছে পরিবারগুলোর। সরকারি বা বেসরকারি যেকোনো পর্যায় থেকেই হোক না কেন, আরো ত্রাণ সহায়তার দাবি করছেন বানভাসিরা।