ঝিনাইদহে নিখোঁজ শিক্ষক মিনারুল অস্ত্রসহ আটক

ঝিনাইদহের নিখোঁজ স্কুলশিক্ষক মিনারুল ইসলামকে (৩০) পাঁচদিন পর অস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মিনারুলের পরিবারের অভিযোগ ছিল, তাঁকে পুলিশ পরিচয়ে সাদা পোশাকে তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে পুলিশ সেই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিল।
আজ বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘মিনারুল সকাল সাড়ে ৬টার দিকে পৌর বাসস্ট্যান্ডে ঘোরাঘুরি করছিল। তখন টহল পুলিশের একটি দল তাঁর ব্যাগ তল্লাশি করে একটি দেশীয় শাটারগান পায়। পরে তাঁকে আটক করা হয়।’
মিনারুলের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে। সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুপুরে তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালত তাঁকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বলে জানান সদর থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক রুশিয়া।
গতকালই মিনারুল ইসলামের স্ত্রী মেহেরুন নেছা মেরী এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, ‘গত ৩০ জুলাই ভোর রাতে ১৫-২০ জন ব্যক্তি পুলিশ পরিচয়ে জেলা শহরের খন্দকারপাড়ার ভাড়া বাড়ি থেকে মিনারুলকে তুলে নিয়ে যায়। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে এ নিয়ে বারবার যোগাযোগ করলেও তারা কোনো খোঁজ দেয়নি। কিন্তু পুলিশই তাঁকে তুলে নিয়ে গেছে।’
মিনারুল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করে কেজি স্কুলে চাকরি নেন। এখানেই ভাড়া বাসায় থাকতেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার খামারাইল গ্রামে। ছোটবেলায় তিনি এতিমখানায় থেকে পড়ালেখা করেছেন।
মিনারুল জামায়াতে ইসলামী বা ইসলামী ছাত্রশিবিরের কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন দাবি করেন তাঁর স্ত্রী।