ঝিনাইদহে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ১

ঝিনাইদহের শৈলকূপায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দুই পুলিশ কনস্টেবল। নিহত ব্যক্তি ডাকাতির সঙ্গে জড়িত বলে পুলিশের দাবি।
গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ২টা ৩০ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ঘটনার পর থেকে নিহত ব্যক্তির পরিচয় গোপন রাখা হলেও আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ পরিচয় নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, নিহত ব্যক্তি ঘটনাস্থলের কাছে দুধসর আশ্রয়ণ পল্লীর ইলাহী বিশ্বাসের ছেলে আবদুর রশিদ (৩৮)। তাঁর বিরুদ্ধে আটটি ডাকাতিসহ নয়টি মামলা রয়েছে। তিনি রাজবাড়ীর পাংশা এলাকার ডাকাত দলের প্রধান মিল্টন ওরফে সবুজের সহযোগী ছিলেন বলেও দাবি করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
শৈলকূপা থানায় সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির পর আবদুর রশিদের লাশ ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে শৈলকূপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তরিকুল ইসলাম জানান।
ওসি বলেন, ‘ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া সড়কের শৈলকূপার দুধসর আশ্রয়ণের সামনে একদল ডাকাত গাছ ফেলে যানবাহনে ডাকাতির চেষ্টা করে। সড়কে টহলরত পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আতিয়ার রহমান খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসামাত্র ডাকাতরা তাদের ওপর বোমা নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশ ২১ রাউন্ড গুলি ছুড়ে ডাকাত দলকে প্রতিহত করার চেষ্টা করে।’
ওসি আরো বলেন, ‘কিছু সময় পরে ঘটনাস্থলে এক ডাকাতের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। এর আগে অন্য ডাকাতরা পালিয়ে যায়।’ তাঁর দাবি, ঘটনাস্থল থেকে একটি শাটারগান, দুই রাউন্ড গুলি, পাঁচটি হাতবোমাসহ ডাকাতির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
ওসি জানান, এ ঘটনায় পুলিশের দুই কনস্টেবল মো. নজরুল ইসলাম ও আমদ আলী আহত হন। উভয়কে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, শৈলকূপা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা নায়েব আলী জোয়ার্দার জানান, নিহত আবদুর রশিদকে ১২ আগস্ট রাতে নিজ বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। ওই দিন সন্ধ্যায় তিনি ভাটই হাটের চাঁদনীতে জাতীয় শোক দিবসের প্রস্তুতিমূলক সভায় অংশ নেন।
নায়েব আলী জোয়ার্দার আরো জানান, এলাকায় কলাচাষি হিসেবেই পরিচিত ছিলেন আবদুর রশিদ। ১০ বছর আগে তাঁর বিরুদ্ধে একটি ডাকাতির মামলা হয়।