গ্রাহকের টাকা নিয়ে উধাও মোংলার এহসান সোসাইটি

মোংলায় গ্রাহকের টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) এহসান সোসাইটি। এতে একদিকে গচ্ছিত টাকা আদায়ের জন্য গ্রাহকরা ঘুরছেন দ্বারে দ্বারে, অন্যদিকে সংস্থাটির মোংলায় কর্মরত মাঠকর্মীরা পড়েছেন চরম বেকায়দায়। গ্রাহকদের লাগাতার হুমকির মুখে কর্মীরা এখন ঘরছাড়া।
আজ রোববার দুপুর ১২টায় মোংলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এহসান সোসাইটির মোংলার মাঠকর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, সংস্থাটির কর্মকর্তারা মোট এক কোটি ৮৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
মাঠকর্মীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মো. রুহুল আমিন। তিনি বলেন, ২০০৫ সালের ডিসেম্বর মাসে কারি সাইয়েদ আহমেদকে প্রধান সমন্বয়কারী করে মোংলায় এহসান সোসাইটির শাখা কার্যালয় খোলা হয়। সুদমুক্ত পণ্য কেনাবেচার কথা বলে মোংলার সহজ-সরল গরিব মানুষকে বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে আদায় করা হয় কয়েক কোটি টাকা। আর এ অর্থ আদায়ের কাজে কমিশনভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয় মসজিদের ইমাম, মোয়াজ্জিন ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের।
২৩ জন মাঠকর্মী মোংলার প্রায় দুই হাজার সদস্যের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে এক কোটি ৮৫ লাখ টাকা আমানত সংগ্রহ করে। ২০১৫ সাল থেকে মোংলার প্রধান সমন্বয়কারী কারি সাইয়েদ আহমেদ ও তাঁর সহযোগী শাখা ব্যবস্থাপক মো. শামসের আলী গ্রাহকের আমানতের টাকা নিয়ে টালবাহনা শুরু করেন। একপর্যায়ে কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে তাঁরা হঠাৎ উধাও হয়ে যান বলে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন রুহুল আমিন।
পরে এ বিষয়ে সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে খুলনা জোনের সমন্বয়কারী মুফতি গোলাম রহমানকে সদস্যদের আমানতের টাকা সমন্বয় করার জন্য বলা হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত মুফতি গোলাম রহমান টাকা পরিশোধের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেননি।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, গ্রাহকদের আমানতের টাকার জন্য বার বার তাগাদা দেওয়া হলে উল্টো বাড়াবাড়ি না করার জন্য মাঠকর্মীদের হুমকি দিচ্ছেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। আমানতের টাকা ফেরত দিতে না পারায় মাঠকর্মীরা গ্রাহকদের হাতে প্রতিনিয়ত লাঞ্ছিত হচ্ছেন। গ্রাহকদের চাপের মুখে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কেউ কেউ। গচ্ছিত আমানত আদায়ে গ্রাহকরাও ঘুরছেন দ্বারে দ্বারে।