মির্জা আব্বাসের জামিন শুনানির জন্য তৃতীয় বেঞ্চ গঠন

রাজধানীর পল্টন ও মতিঝিল থানায় দায়ের করা দুটি মামলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন শুনানির জন্য তৃতীয় বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে।
আজ রোববার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা এ বেঞ্চ গঠন করেন। আগামীকাল সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি রুহুল কুদ্দুসের একক বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে দুটি মামলায় জামিন আবেদনের ওপর বিভক্ত আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। জ্যেষ্ঠ বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী মির্জা আব্বাসকে জামিন দিলেও অপর বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর তাঁর জামিন আবেদন নাকচ করেন। নিয়ম অনুযায়ী, এ ব্যাপারে তৃতীয় বেঞ্চে গঠনের জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হয়। প্রধান বিচারপতি আজ নতুন করে এ বেঞ্চ গঠন করেন।
প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার ব্যক্তিগত সচিব (হাইকোর্ট বিভাগ) কবির হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, মামলার শুনানির জন্য আজ তৃতীয় বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে। আগামীকাল রুহুল কুদ্দুসের একক বেঞ্চে এটির শুনানি হতে পারে।
গত ১৫ এপ্রিল মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদনের ওপর বিভক্ত আদেশ দেন হাইকোর্ট। ওই দিন দুপুরে বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের হাইকোর্ট বেঞ্চ দুই ধরনের আদেশ দেন।
মির্জা আব্বাসের পক্ষে মামলার শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন। রাষ্ট্রপক্ষে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এ ব্যাপারে মির্জা আব্বাসের আইনজীবী মাহবুবউদ্দিন খোকন বলেছিলেন, ‘দ্বৈত আদেশ এসেছে। এটি এখন প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে। তিনি নতুন বেঞ্চ গঠন করে দেবেন। যেহেতু একজন বিচারপতি জামিন দিয়েছেন, সে জন্য তাঁকে গ্রেপ্তার করার সুযোগ নেই।’
আদেশের বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছিলেন, ‘মির্জা আব্বাসের দুটি মামলায় দ্বৈত আদেশ হয়েছে। একজন বিচারপতি তাঁকে তিন সপ্তাহের জামিন দিয়েছেন। অপর বিচারপতি তাঁর আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন এবং দ্রুত তাঁকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন। আমি মনে করি, তিনি এখনো আইনের দৃষ্টিতে পলাতক।’