রামপালে কয়লা পরিবহনে জীববৈচিত্র্যের প্রভাব নিয়ে সভা

রামপালে ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের কয়লা পরিবহনে বনের জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হবে কি-না- এই প্রতিবেদন বিষয়ে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) এর ব্যবস্থাপনায় সোমবার দুপুরে বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মীর শওকাত আলী বাদশা। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞ মোক্তারুজ্জামান, বিদ্যুৎ বিশেষজ্ঞ জালাল আহমেদ প্রমুখ। সমীক্ষা রিপোর্ট উত্থাপন করেন বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক উজ্জ্বল ভট্টাচার্য।
সভায় নৌপথে কয়লা পরিবহণে সুন্দরবন, ডলফিনের ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি জীববৈচিত্রের ক্ষতির আশংকা রোধে সুন্দরবনের মধ্যদিয়ে কয়লা পরিবহনের জন্য তিনটি নৌপথ ব্যবহার এবং ১৩টি নির্দেশনা সস্পর্কে অবহিত করা হয়।
সভায় জানানো নৌপথ তিনটি হলো, পশুর নৌপথ : ফেয়ারওয়ে থেকে হিরনপয়েন্ট-আকরাম পয়েন্ট-হাড়বাড়িয়া-মোংলা হয়ে রামপাল। শেবসা নৌপথ : ফেয়ারওয়ে থেকে হিরনপয়েন্ট-আকরাম পয়েন্ট-চুনকুরি-চালনা হয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্র। মোংলা-ঘাষিয়াখালী নৌপথ : ফেয়ারওয়ে বয়া থেকে বলেশ্বর, ঘাষিয়াখালী-মোংলা-পশুর-মোংলা বন্দর হয়ে রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র।