নিয়োগে অনিয়ম, রেলের সাবেক মহাব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর নির্দেশ

কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে রেলওয়েরপূর্বাঞ্চলের সাবেক মহাব্যবস্থাপক ইউসুফ আলী মৃধার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলা আমলে নিয়ে বিচার শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ রোববার দুপুরে চট্টগ্রামের সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতকে এই আদেশদেন। কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগের মামলা বাতিলে তিন শিক্ষকের দায়ের করা রুলের নিষ্পত্তি করে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।
আদালত রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেন, মামলার এজাহার ও অভিযোগপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ইউসুফ আলী মৃধার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা রয়েছে। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্র থেকে তাঁকে অব্যাহতি দিয়ে আইনবহির্ভূত কাজ করেছেন। তাই অভিযোগ আমলে নিয়ে মামলা পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া গেল। একই সঙ্গে এই মামলায় খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের তিন শিক্ষক তপন কুমার দাশ, জহিরুল ইসলাম, আবদুল ওয়াদুদের রুলের নিষ্পত্তি করে মামলা চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কর্মচারী-কর্মকর্তা নিয়োগে বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত সুবিধাভোগীদের বিরুদ্ধে পৃথকভাবে তদন্ত করার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের পরীক্ষার খাতায় ঘষামাজা ও অনিয়মের অভিযোগে ২০১২ সালের ১৩ অক্টোবর রেলওয়েরপূর্বাঞ্চলের সাবেক মহাব্যবস্থাপক ইউসুফ আলী মৃধাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন। কিন্তু মামলার চার্জশিটে তিনজনকেই অব্যাহতি দিয়ে দুদকের উপপরিচালক রাশেদুর রেজা নতুন ৩৪ জনকে আসামি করে চার্জশিট দেন। এর মধ্যে খাগড়াছড়ির ওই তিন শিক্ষকও রয়েছেন। তাঁরা মামলাটি স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করলে আদালত মামলা স্থগিত করে ২৮ জানুয়ারি ২০১৫ রুল জারি করেন। আজ রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি খারিজ করে দিয়ে নতুন রায় দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষ থেকে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান ওতিন শিক্ষকের পক্ষে অ্যাডভোকেট মশিউজ্জামান।
দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, রেলওয়েতে নিয়োগ-সংক্রান্ত অনিয়মের কারণে ইউসুফ আলী মৃধার বিরুদ্ধে মামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া নিয়োগ-বাণিজ্যে জড়িতদের এরই মধ্যে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।