ঝিনাইদহে মাইক্রোবাসসহ দুই ‘ভুয়া পুলিশ’ আটক

গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয় দেওয়া ছিনতাইকারী চক্রের দুই সদস্যকে ঝিনাইদহে একটি মাইক্রোবাসসহ আটক করেছে পুলিশ।
জেলা শহরের আরাপপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে আজ মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে ওই দুই ছিনতাইকারীকে আটক করা হয়।
আটক হওয়া ব্যক্তিরা হলেন ছিনতাইকারী দলের প্রধান ফরহাদ (৩৮) ও মাইক্রোবাস চালক আজিবুল্লাহ খোকা (৩৫)। ফরহাদের বাড়ি মাদারীপুরের আওয়াজদি গ্রামে। আর আজিবুল্লাহ খোকার বাড়ি ভোলার পঞ্চপট্টি গ্রামে।
ঝিনাইদহ সদরের সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) গোপীনাথ কানজি লাল জানান, আজ দুপুর ২টার দিকে মাগুরা জেলা শহরের জেলখানার সামনের সড়কে মাইক্রোবাস থামিয়ে মোটরসাইকেল আরোহী ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের খলিলুর রহমান ও একই জেলার ছাইয়াল গ্রামের সাইদুর রহমান সোহাগের পথ রোধ করে।
এ সময় ছিনতাইকারীরা গোয়েন্দা পুলিশের পরিচয় দিয়ে অস্ত্রের মুখে মোটরসাইকেলের চাবি কেড়ে নেয় এবং তাদের মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। এর পর ছিনতাইকারীরা খলিলুর রহমান ও সাইদুর রহমানের চোখ বেঁধে ব্যাপক মারধর করে। তাদের কাছ থেকে চার লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে ঝিনাইদহ শহর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে লাউদিয়া নামক স্থানে ফেলে রেখে চলে যায়।
গোপীনাথ কানজি লাল আরো জানান, এই ছিনতাইয়ের ঘটনার খবর মাগুরা থেকে ঝিনাইদহ পুলিশকে জানানো হয়। দুপুর আড়াইটার দিকে শহরের আরাপপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে মাইক্রোবাসসহ ছিনতাইকারী দলের প্রধান ফরহাদ ও চালক আজিবুল্লাহ খোকাকে আটক করা হয়। তবে এ সময় এ চক্রের অন্য সদস্যরা পালিয়ে যায়।
ছিনতাইয়ের শিকার ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান ও সাইদুর রহমান সোহাগ বলেন, মাগুরা জেলা শহরের ইসলামী ব্যাংক শাখা থেকে চার লাখ টাকা উত্তোলন করে তাঁরা মোটরসাইকেলে করে ঝিনাইদহে ফিরছিলেন। পথে মাগুরা শহরের জেল গেটের সামনে থেকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে তাদের মাইক্রোবাসে তুলে নেওয়া হয়। এ সময় মাইক্রোবাসে অন্তত ছয় থেকে সাতজন বসা ছিল। তারা তাদের চোখ বেঁধে বেদম মারধর করে। জঙ্গি হিসেবে তাঁদের ক্রসফায়ারে মেরে ফেলার ভয়ও দেখানো হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ব্যাংক থেকে তুলে আনা চার লাখ টাকা কেড়ে নেয় ওই চক্রের সদস্যরা। এর পর ঝিনাইদহ-যশোর সড়কের লাউদিয়া নামক স্থানে তাঁদের ফেলে দেওয়া হয়।
মাগুরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শ্রীবাস কুণ্ডু বলেন, ঘটনার পর পরই স্থানীয়রা মাগুরা থানা পুলিশকে খবর দেয় । তারা বিষয়টি ঝিনাইদহ পুলিশকে অবহিত করে।
পরে ঝিনাইদহ পুলিশ মাইক্রোবাসসহ দুজনকে আটক করে।
শ্রীবাস আরো বলেন, চক্রটির আরো পাঁচ সদস্যের নাম জানতে পেরেছেন তাঁরা। ছিনতাই করা টাকা উদ্ধার করা যায়নি।