খুলনা মেডিকেলে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ, আহত ২০

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। আজ শনিবার বেলা ১২টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ক্যাম্পাসে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-২ নমিতা হালদার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উন্নয়নকাজ পরিদর্শন করছিলেন।
সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস জানান, ক্যান্টিনে বসাকে কেন্দ্র করে বেলা ১২টার দিকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। অতিরিক্ত পুলিশ, র্যাব মোতায়েন রয়েছে।’ তিনি সংঘর্ষের কথা স্বীকার করলেও কোনো লাঠিপেটা বা পুলিশি অ্যাকশন হয়নি বলে জানান।
আহত একাধিক ছাত্র জানিয়েছেন, ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি শাহজালাল সুজন ও সাধারণ সম্পাদক রাসেলের পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। আজ বেলা ১১টা দিকে ক্যান্টিনে বসাকে কেন্দ্র করে বিরোধ সৃষ্টি হলে বহিরাগতদের নিয়ে দুই পক্ষের পক্ষ ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া করে। এই সময় হামলাকারীদের হাতে হকিস্টিক ও ধারালো অস্ত্র দেখা যায়। শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত নিয়ে দুপুর ২টা পর্যন্ত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০ জন চিকিৎসা নেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষ চলার সময় মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উভয়ই ক্যাম্পাসে উপস্থিত ছিলেন। তবে আহতদের মধ্যে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল পক্ষের অনুসারী বেশি বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে ছাত্রলীগের সভাপতি শাহজালাল সুজন ও সাধারণ সম্পাদক রাসেলের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে সংযোগ কেটে দেন।
এই সংঘর্ষের খবরে খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান খুলনা মেডিকেল কলেজে আসেন এবং আহতদের খোঁজখবর নেন।