জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শাখা ছাত্রলীগের সব অনুষ্ঠান ও কর্মসূচি বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন জাবিসাসের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের সংবাদ সংগ্রহ ও ছবি তুলতে যান দৈনিক মানবজমিনের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ও এনটিভি অনলাইনের সংবাদদাতা হাসান আল মাহমুদ। এ সময় তাঁকে রড নিয়ে মারতে তেড়ে আসেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ৪২তম ব্যাচের ছাত্রলীগকর্মী শাহরুখ শাহরিয়ার সৌমিক (লোকপ্রশাসন বিভাগ)। সৌমিক ও তাঁর সঙ্গে থাকা ছাত্রলীগকর্মীরা ‘পুরো ক্যাম্পাসের মালিক আমরা, আমাদের যা ইচ্ছা তাই করব’ বলে ওই সাংবাদিককে শাসান।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ঘটনার পর পরই এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি বেলাল হোসাইন রাহাত ও সহসভাপতি সানাউল্লাহ মাহীর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন ৪২তম ব্যাচের ছাত্রলীগকর্মী হাবিবুল্লাহ হাবিব (লোকপ্রশাসন বিভাগ), নাজমুল বরুণ (অর্থনীতি) ও ৪৩তম ব্যাচের সৈকত মুহাম্মদ আবদুল্লাহ (ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং) । তাঁদের সঙ্গে ছিলেন আরো চার-পাঁচ ছাত্রলীগকর্মী।

পরবর্তী সময়ে বিষয়টি জাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুর রহমান জনি ও সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহমেদ রাসেলকে মৌখিকভাবে জানানো হয়। এরপরও সাংগঠনিকভাবে এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাংবাদিকের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের পরিপ্রেক্ষিতে যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত জাবি শাখা ছাত্রলীগের সব ইতিবাচক সংবাদ ও অনুষ্ঠান বর্জন অব্যাহত থাকবে।

বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহমেদ রাসেল বলেন, ‘আমরা বিষয়টা নিয়ে আজকের মধ্যেই সাংবাদিক নেতাদের সঙ্গে বসব। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’