দুই বিচারক হত্যায় জঙ্গি আরিফের ফাঁসি বহাল

ঝালকাঠিতে দুই বিচারক হত্যা মমলার ঘটনায় জঙ্গি আসাদুল ইসলাম ওরফে আরিফের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। এ আদেশের ফলে আরিফের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে আর কোনো বাধা থাকল না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আজ রোববার সকাল ৯টা ২০ মিনিটের দিকে আরিফের রিভিউ আবেদন খারিজ করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ এ রায় দেন।
বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান।
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং আরিফের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এন কে সাহা।
২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর ঝালকাঠি জেলার সিনিয়র সহকারী জজ সোহেল আহম্মেদ ও জগন্নাথ পাঁড়ের গাড়িতে বোমা হামলা চালালে নিহত হন তাঁরা।
এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২০০৬ সালের ২৯ মে জেএমবির শীর্ষ নেতা শায়খ আবদুর রহমান, সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলাভাই, শায়খের ভাই আতাউর রহমান সানি, জামাতা আবদুল আউয়াল, ইফতেখার হোসেন মামুন, খালেদ সাইফুল্লাহর (ফারুক) মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রেজা তারিক আহম্মেদ। এর পর ছয় জঙ্গির ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে ২০০৬ সালের ৩১ আগস্ট তাদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন উচ্চ আদালত।
পরে এ ছয় জঙ্গি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন করলে ২০০৭ সালের ৪ মার্চ রাষ্ট্রপতি ছয় জঙ্গির প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দেন। ওই মাসের ২৯ তারিখ রাতে আসামিদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।