আমদানি করা খাদ্যসামগ্রীর তেজষ্ক্রিয়তা পরীক্ষা ডিসেম্বর থেকে শুরু

মংলা বন্দর দিয়ে আমদানীকৃত খাদ্য সামগ্রীর তেজষ্ক্রিয়তা ও বিকিরণের মাত্রা পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। আগামী ডিসেম্বর নাগাদ এই কার্যক্রম শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে।
আজ রোববার মোংলায় নির্মাণাধীন তেজষ্ক্রিয়তা পরীক্ষণ ও পরিবীক্ষণ গবেষণাগার প্রকল্প পরিদর্শন শেষে জাতীয় সংসদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এ কথা জানায়।
কমিটির সদস্য ও ময়মনসিংহ-১১ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আমান উল্লাহর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলটি আজ প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখেন।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে প্রায় ১৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে মোংলা বন্দরের শিল্প এলাকায় এই তেজষ্ক্রিয়তা পরীক্ষণ ও পরিবীক্ষণ গবেষণাগার প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয়। এরই মধ্যে প্রকল্পের ৯৫ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরে প্রকল্পটি চালু হবে। ফলে মোংলা বন্দর দিয়ে আমদানীকৃত খাদ্যসামগ্রী এবং অন্যান্য পণ্যের তেজষ্ক্রিয়তা ও বিকিরণের মাত্রা পরীক্ষণ করা সম্ভব হবে। এতে মোংলা বন্দরে পণ্য খালাসের গতি আরো বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছে প্রকল্প পরিদর্শনে আসা প্রতিনিধিদল।
এ সময় মোহাম্মদ আমান উল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, তেজষ্ক্রিয় দূষণ সামগ্রীর দেশে প্রবেশরোধেই মোংলা বন্দরে এই তেজষ্ক্রিয়তা পরীক্ষণ ও পরিবীক্ষণ গবেষণাগার নির্মাণ করা হয়েছে। এ গবেষণাগার মোংলা বন্দরের বিভিন্ন হাসপাতাল, শিল্পপ্রতিষ্ঠান, তেল ও গ্যাস কোম্পানির জন্য আমদানীকৃত বিভিন্ন দ্রব্য পরিবহনের ক্ষেত্রে পারমাণবিক নিরাপত্তা প্রদান, বন্দর ও শুল্ক কর্তৃপক্ষকে আমদানীকৃত বিভিন্ন পারমাণবিক বিকিরণজনিত দ্রব্যাদির পরীক্ষণ এবং ছাড়পত্র সংক্রান্ত কাজে সহায়তা করবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার এম আলী জুনকার নাইন বলেন, চট্টগ্রামের পর এই মোংলা বন্দরে এই ধরনের গবেষণাগার নির্মাণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া বেনাপোল, হিলি, পায়রা বন্দর ও সিলেট এলাকায় আরো চারটি তেজষ্ক্রিয়তা পরীক্ষণ গবেষণাগার নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।