অপহরণের এক মাস পর মিলল কিশোরের গলিত লাশ

চুয়াডাঙ্গার একটি কারখানার সেপটিক ট্যাংক থেকে এক কিশোরের গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ বুধবার সকালে শহরের কেদারগঞ্জ সিঅ্যান্ডবি পাড়ার একটি চার্জার লাইট কারখানায় অভিযান চালিয়ে সেপটিক ট্যাংক থেকে লাশটি উদ্ধার করেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
নিহত কিশোরের নাম মাহফুজ আলম সজীব (১৪)। সে দামুড়হুদা উপজেলার দশমী ব্রিজপাড়ার মৃত হাবিবুর রহমানের একমাত্র ছেলে এবং চুয়াডাঙ্গা ভি জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
র্যাব-৬ ঝিনাইদহ ক্যাম্পের উপপরিচালক মেজর মনির আহমেদ জানান, গত ২৯ জুলাই দামুড়হুদা উপজেলার চত্বরের বৃক্ষমেলার মাঠ থেকে সজীবকে অপহরণ করে নিয়ে যায় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। অপহরণের পর সজীবের পরিবারের কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে তারা। ওই টাকা দিতে না পারায় সজীবকে খুন করে কারখানাটির সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেওয়া হয়।
মেজর মনির আহমেদ আরো জানান, অপহরণকারীরা মুক্তিপণের জন্য যে নম্বর থেকে ফোন করেছিল, তা ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে এই অপহরণ ও খুনের মূল হোতা হিসেবে আলোকদিয়া ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রাকিবুল ইসলাম রাকিবকে শনাক্ত করা হয়। রাকিব দুই বছর ধরে সিঅ্যান্ডবিপাড়ায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে টু স্টার এলইডি চার্জার তৈরি করে জাহান ইলেকট্রনিকস নামে বাজার জাত করতেন। ওই কারখানাটির সেপটিক ট্যাংক থেকেই সজীবের লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে রাকিব এখন পলাতক।
রাকিবসহ এ ঘটনায় জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে বলে জানায় র্যাব।