রোটেশন প্রথায় জিম্মি ঢাকা-বরিশাল রুটের যাত্রীরা

লঞ্চ মালিকদের সৃষ্ট রোটেশন প্রথার কাছে জিম্মি হয়ে আছে ঢাকা-বরিশাল রুটের লাখো যাত্রী। পছন্দ মতো লঞ্চে উঠতে না পারাসহ মালিকদের ব্যবসায়িক মনোভাবের কারণে প্রাপ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তারা।
ঢাকা-বরিশাল রুটে চলাচলের জন্য সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া লঞ্চের সংখ্যা ১৭টি। অথচ এর মধ্যে গড়ে প্রতিদিন আট থেকে ১০টি করে লঞ্চ চালান মালিকরা।
লোকসানের অজুহাত দেখিয়ে রোটেশন প্রথা চালু করে বাকি লঞ্চগুলোকে বসিয়ে রাখা হয়। এর ফলে স্বাভাবিক সময় এবং সপ্তাহের ছুটির দিনগুলোতে চাহিদা মতো লঞ্চ পাওয় যায় না। তখন এক রকম বাধ্য হয়েই অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে উঠতে হয় লঞ্চে।
যাত্রী দুর্ভোগের জন্য দায়ী এই রোটেশন প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলনও হয়েছে। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি গড়িয়েছে আদালতে। জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞাও। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
কেন্দ্রীয় লঞ্চ মালিক সমিতির সহসভাপতি সাঈদুর রহমান রিন্টু বলেন, ‘রোটেশন ঠিক না, এটা আমরা গ্রুপভিত্তিক লঞ্চ চালাচ্ছি। গ্রুপ ভিত্তিক লঞ্চ চালানো হচ্ছে বিধায় একটু সমস্যা হচ্ছে।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বরিশাল বন্দর নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘গত ঈদে ব্ল্যাকিংকে (টিকেট কালোবাজারি) আমরা জিরোতে নামিয়ে আনতে পেরেছিলাম। প্রয়োজনে আমরা আবার ব্যবস্থা নেব। ব্ল্যাকিংয়ের কারণে যেন কেবিন সংকট না হয়।’
রোটেশন প্রথা চালুর কারণ হিসেবে মালিকরা বলছেন লোকসানের কথা। কিন্তু দুই তিন বছর আগেও যেখানে ঢাকা-বরিশাল রুটে লঞ্চ ছিল ১১ থেকে ১২টি, এখন সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭। নির্মাণকাজ চলছে আরো তিনটির।