কুড়িগ্রাম সীমান্ত দিয়ে ঢুকছে ভারতীয় রোগাক্রান্ত গরু
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/09/08/photo-1473346512.jpg)
যথাযথ নজরদারি না থাকায় কুড়িগ্রাম সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অবাধে প্রবেশ করছে ভারতীয় রোগাক্রান্ত গরু ও মহিষ। কোনো ডাক্তারি পরীক্ষা ছাড়াই যাত্রাপুর ও ভুরুঙ্গামারী করিডর হাটে প্রবেশ করছে ভারতীয় গরু ও মহিষ।
সীমান্তের প্রবেশ দ্বার এলাকায় রোগাক্রান্ত গরু-মহিষ শনাক্তের ব্যবস্থা না থাকায় সুস্থ গবাদি পশুর সাথে মিশে তা চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন কোরবানির হাটে। তবে ঈদকে সামনে রেখে করিডর হাটে ভারতীয় গরু-মহিষের মজুদ বাড়লেও ক্রেতাদের চাহিদা দেশি গরুতে।
এবারের ঈদে কুড়িগ্রামের কালির আলগা, নারায়ণপুর, নুনখাওয়া, দইখাওয়াসহ কয়েকটি সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিনই প্রবেশ করছে শত শত ভারতীয় গরু-মহিষ। এসব গবাদি পশুকে সরকারি রাজস্বের আওতায় আনা হলেও শনাক্ত করা হচ্ছে না তাদের শরীরে থাকা বিভিন্ন রোগ। ফুট অ্যান্ড মাউথ ও খুড়া রোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ভারতীয় এসব পশুর চিকিৎসা করানো হচ্ছে করিডর হাটেই।
সদর উপজেলার যাত্রাপুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, রোগাক্রান্ত গরু-মহিষকে গ্রাম্য চিকিৎসক দিয়ে কোনো রকমে সুস্থ করে তোলা হচ্ছে। এরপর সেগুলোকে অন্য পশুর সাথে ট্রাক বোঝাই করে নিয়ে যাচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।
যাত্রাপুর হাটের গরু ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম জানান, বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ও নদীপথে ভারতীয় গরু যাত্রাপুর হাটে আসে। কিন্তু এর মধ্যে কিছু গরু অসুস্থ থাকে। এসব অসুস্থ গরুকে গ্রাম্য পশু চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করিয়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামে পাঠানো হয়।
তবে এবারের ঈদে করিডর হাটে ভারতীয় গরুর দাম চড়া হওয়ায় কোরবানিতে দেশি জাতের গরুর চাহিদাই বেশি বলে জানিয়েছেন হাটের ইজারাদার আব্দুল গফুর। তিনি জানান, করিডর হাট যাত্রাপুরে দেড় হাজারেরও বেশি ভারতীয় গরু জমা হয়ে থাকলেও বিক্রি হচ্ছে সামান্যই।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা দীপক রঞ্জন জানান, সীমান্তের প্রবেশ দ্বারগুলোতে ভারতীয় গবাদি পশুর রোগ শনাক্তের ব্যবস্থা না থাকালেও করিডর হাটগুলোতে নিয়মিত মনিটরিংয়ের মাধ্যমে চিকিৎসা করানো হচ্ছে। তবে একবার হাটে রোগাক্রান্ত গরু ঢুকে যাওয়ার পর চিকিৎসা করালে তা কতটুকু কার্যকর হবে সে বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবি, যেহেতু হাটে ভারতীয় গরুর চেয়ে দেশি গরুর চাহিদা বেশি সে ক্ষেত্রে দেশি জাতের খামারে সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা বাড়াতে হবে। এর ফলে দেশীয় পশু দিয়েই ঈদের চাহিদা পূরণ হবে। তখন আর ভারত থেকে চোরাইপথে গরু আনতে হবে না। আর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে প্রাণহানিও ঘটবে না কোনো গরু ব্যবসায়ীর।