ঝিনাইদহ কারাগারে সংঘর্ষে আহত আসামির মৃত্যু

ঝিনাইদহ কারাগারের অভ্যন্তরে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হত্যা মামলার আসামি রেজাউল হক মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
ঝিনাইদহ কারাগারের সুপার গোলাম হোসেন সাংবাদিকদের জানান, গত ৫ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টা ২০ মিনিটে কারাগারের অভ্যন্তরে দুই দল আসামির মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে গুরুতর আহত হন রেজাউল। ওইদিন তাঁকে প্রথমে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় তাঁকে। সেখানেই তিনি মারা যান।
জেল সুপার আরো জানান, ১৯৯৯ সালে ১৯ অক্টোবর শৈলকুপা থানায় করা একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন রেজাউল। ওই মামলাটি ঝিনাইদহ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় ঝিনাইদহ সদর থানায় আজ বিকেলে জেল সুপার গোলাম হোসেন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন। নিহত রেজাউলের লাশ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ দিকে রেজাউলের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর জেলা কারাগার এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ঘটনার পর নারী নির্যাতন মামলার আসামি জয়পুরহাটের শহিদুল ইসলামকে জেলা কারাগারের একটি বিশেষ সেলে বন্দি রাখা হয়েছে বলে জানান জেল সুপার।
কারাগার সূত্র জানায়, ঘটনার দিন, কারাগারের হাণ্ডিখানায় খাবার ডাল নিয়ে আসামিদের দুটি পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সময় লোহার হাতলি দিয়ে রেজাউলের মাথায় আঘাত করা হয়।
এ সময় কারাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঝিনাইদহ স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসক ডা. জাহিদুল ইসলামকে ডাকা হয়।
নিহত রেজাউলের স্বজনদের অভিযোগ, রেজাউল ইসলামকে হাসপাতালে পাঠাতে বিলম্ব করা হয়।
তবে নিহত রেজাউলের পরিবারের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চিকিৎসক জাহিদ। তিনি এ ব্যাপারে জেলা সিভিল সার্জনের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।