ঝালকাঠিতে একুশে টিভির প্রতিনিধির নামে মামলা

ঝালকাঠি থেকে প্রকাশিত দৈনিক শতকণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদককে নিয়ে ফেসবুকে মানহানিকর মন্তব্য করায় একুশে টিভির জেলা প্রতিনিধির বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলা হয়েছে।
আজ সোমবার বেলা ১২টায় ঝালকাঠির জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে পত্রিকাটির সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন মঞ্জু বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
আদালতের বিচারক জাহেদ আহমেদ ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) অভিযোগটি এফআইআর হিসেবে রেকর্ড করার নির্দেশ দেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২৫ আগস্ট একুশে টিভির জেলা প্রতিনিধি আজমির হোসেন তালুকদার তাঁর ফেসবুকের টাইমলাইনে ‘বিজ্ঞপ্তি চাপা দিতে দেড় লাখ টাকা নিলেন এক সম্পাদক, ঝালকাঠি জেলা পরিষদের তিন কোটি টাকার ৫৩ গ্রুপ টেন্ডার গুছিয়ে নিতে তৎপর টেন্ডারবাজি সিন্ডিকেট’ শীর্ষক বক্তব্য দিয়ে একটি লেখা পোস্ট করেন। লেখায় তিনি বাংলাদেশ আঞ্চলিক সংবাদপত্র পরিষদের মহাসচিব ও দৈনিক শতকণ্ঠ সম্পাদককে জড়িয়ে মানহানিকর মন্তব্য করেন। এ ঘটনায় সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন মঞ্জু তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় অভিযোগ এনে আজমির হোসেন তালুকদারের বিরুদ্ধে গত ৮ সেপ্টেম্বর ঝালকাঠি থানায় একটি অভিযোগ দেন। অভিযোগটি থানা পুলিশ ১০ দিনেও এজাহারভুক্ত না করায় আজ জাহাঙ্গীর হোসেন মঞ্জু বাদী হয়ে ঝালকাঠির জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে নালিশি অভিযোগ দায়ের করেন। বিচারক অভিযোগটি ঝালকাঠি থানার ওসিকে এফআইআর হিসেবে রেকর্ড করার নির্দেশ দেন।
সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন মঞ্জুর আইনজীবী ছিলেন আবদুল বারেক বারী, বনি আমিন বাকলাই ও মানিক আচার্য্য।
এ ব্যাপারে জাহাঙ্গীর হোসেন মঞ্জু বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হিসেবে ফেসবুক এখন জনপ্রিয়। কিন্তু তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন লঙ্ঘন করে ফেসবুকের অপব্যবহারও হচ্ছে। একুশে টিভির ঝালকাঠি প্রতিনিধি আজমির হোসেন তালুকদার তাঁর ফেসবুকের টাইমলাইনে আমাকে জড়িয়ে গত ২৫ আগস্ট একটি মানহানিকর পোস্ট দেন। এতে আমার সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করা হয়। আমি ঝালকাঠি থানায় আজমির হোসেনের নামে একটি অভিযোগ দিলেও পুলিশ তা এজাহার হিসেবে নেয়নি। তাই বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা করেছি।’
আজমির হোসেন তালুকদার বলেন, ‘আমি কোনো আক্রোশমূলক কথা লিখিনি তাঁর বিরুদ্ধে। কেবল একটি টেন্ডার ও দুর্নীতির বিষয়ে রিপোর্ট করেছি। আমার কাছে ঠিকাদারদের অভিযোগের কপি আছে। এখন যদি তিনি (জাহাঙ্গীর হোসেন মঞ্জু) আইনের আশ্রয় নিয়ে থাকেন, তাহলে আমিও আইনি প্রক্রিয়ায় জবাব দেব।’