জেএমবির সাত সদস্যের কারাদণ্ড

চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও খাগড়াছড়ি জেলায় জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি)সাত সদস্যকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুই জেএমবি সদস্যকে অস্ত্র আইনে ১৪ বছর করে এবং খাগড়াছড়িতে পাঁচ জেএমবি সদস্যকে সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এঁদের মধ্যে একজন পলাতক রয়েছেন। বাকিরা রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আজ শনিবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিশেষ আদালত ২-এর বিচারক মো. জিয়াউর রহমান দুই জেএমবি সদস্যকে ১৪ বছর করে কারাদণ্ড দেন।
এঁরা হলেন শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট খড়গপুরের মমিন এবং ভোলাহাট উপজেলার মুশরিভুজার রবিউল ইসলাম।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পাবলিক প্রসিকিউটর জোবদুল হক দুই জেএমবি সদস্যের কারাদণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, তাঁদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আরো মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
মামলার বরাত দিয়ে আইনজীবী জানান, ২০০৯ সালের ১৪ জুন গুলি ও জিহাদি বইসহ শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট খড়গপুর থেকে মমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ওই বছরের ১৭ জুন ভোলাহাট উপজেলার মুশরিভুজার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় রবিউল ইসলামকে। এ সময় সেখান থেকে একটি শুটারগান, তিনটি গুলি ও গুলি তৈরির উপকরণ উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে ভোলাহাট থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেন উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান। ওই বছরের ১৬ জুলাই আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। মামলায় ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ রায় দেন।
অপরদিকে খাগড়াছড়ি জেলা ও দায়ারা জজ আদালতের বিচারক মো. ইনামুল হক ভূঁইয়া পাঁচ জেএমবি সদস্যকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। তাঁদের সবাইকে মাটিরাঙা উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এঁরা হলেন কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার আবদুর রহিম, খাগড়াছড়ির মাটিরাঙা উপজেলার দেলোয়ার হোসেন, মো. ইউনুস ও সামছু মিয়া। এ মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামি শামিম আহম্মেদ পলাতক রয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ জেএমবি সদস্যকে সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং দুই হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে আরো দুই বছরের জেল দেন বিচারক।
২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জঙ্গি প্রশিক্ষণের সময় মাটিরাঙার শান্তিপুর গ্রাম থেকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ৭-এর অভিযানে তাঁদের আটক করা হয়।