ইরাদ আহম্মদের বিরুদ্ধে মামলা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেসবুকে হত্যার হুমকির দেওয়ায় বিএনপির সাবেক স্থায়ী কমিটির সদস্য চৌধুরী তানবীর আহম্মদ সিদ্দিকীর ছেলে চৌধুরী ইরাদ আহম্মদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার রাতে মুক্তিযোদ্ধা ও কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুর রশিদ বাদী হয়ে গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানায় একটি মামলা করেন।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ইরাদ আহম্মদ সিদ্দিকী গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার পর তাঁর নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। ওই স্ট্যাটাসে তিনি শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিয়ে লিখেন, ‘শেখ হাসিনাকে গুপ্তহত্যা ছাড়া বাংলাদেশের ক্ষমতার ভারসাম্য ও গণতন্ত্র ফেরানো সম্ভব নয়। শেখ হাসিনাকে গুপ্তহত্যা করা সম্ভব নয়, কারণ শেখ হাসিনার চারদিকে ভারতের বিশেষ নিরাপত্তা চাদর রয়েছে।’
এ ছাড়া ফেসবুকে নিজেকে ঢাকার সিটি করপোরেশনের ছায়া মেয়র হিসেবে পরিচয় দেওয়া ইরাদ বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানকে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র বানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন।
সম্প্রতি নিজের ফেসবুক পেজের নাম হিন্দিতে রুপান্তর করেছেন ইরাদ। তিনি গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ছবির নিচে মধ্যম অঙ্গুলি প্রদর্শন করিয়ে ট্রল করে পোস্ট দেন। সেখানে লিখেছেন, ‘ভাস্কর্য হাজারো শব্দের প্রতিনিধিত্ব করে।’ এছাড়া নিজেকে জমিদারের বংশধর হিসেবে তুলে ধরে ইরাদ তাঁর ফেসবুক পেজে একটি ঘোড়ার তৈলচিত্র দিয়ে বঙ্গবন্ধুর বাবা সেই ঘোড়ার ভৃত্য ছিলেন বলে উল্লেখ করেছেন।
এ ঘটনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুর রশিদ বাদী হয়ে গতকাল রাতে চৌধুরী ইরাদ আহম্মদ সিদ্দিকীর নাম উল্লেখ করে যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০১৩-এর ৫৭ ধারায় গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানায় মামলা করেন।
মামলার বাদী মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল রশিদ বলেন, ‘বিএনপির সাবেক স্থায়ী কমিটির সদস্য কালিয়াকৈরের বাসিন্দা চৌধুরী তানবীর আহম্মদ সিদ্দিকীর কুলাঙ্গার পুত্র চৌধুরী ইরাদ আহম্মদ সিদ্দিকী তাঁর ফেসবুক আইডিতে কটূক্তি ও ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করে বঙ্গবন্ধুর মানহানি করেছে এবং প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। তাই আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং সচেতন নাগরিক হিসেবে কালিয়াকৈর থানায় অভিযোগ দায়ের করলে থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মোতালেব হোসেন মিয়া বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির ঘটনায় একটি অভিযোগ দাখিল করা হলে আমরা যাচাই করে এর সত্যতা পাই। পরে এ ঘটনায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে একটি মামলা গ্রহণ করি। পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।’