চালককে মারধর, ঝালকাঠির বাস ধর্মঘট প্রত্যাহার

চালককে মারধরের প্রতিবাদে ঝালকাঠির ছয়টি পথে ডাকা অনির্দিষ্টকালের বাস ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছে আন্তজেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন।
জেলা প্রশাসক মো. মিজানুল হক চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠকের পর রাত ৮টার দিকে এই ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঝালকাঠি আন্তজেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বাহাদুর চৌধুরী জানান, বাস ধর্মঘটের ব্যাপারে সন্ধ্যায় ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন জেলা প্রশাসক মো. মিজানুল হক চৌধুরী। বৈঠকে জেলা প্রশাসক পিরোজপুরের জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলেন। পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক বিষয়টি মীমাংসার আশ্বাস দিলে রাত ৮টার দিকে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর অটোরিকশার সঙ্গে বাসের (ফেনী-ঝ-০৪-০০১১) ধাক্কা লাগার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান খালেক স্থানীয় জজকোর্ট এলাকায় বসে ঝালকাঠির বাসচালক নান্না সিকদারকে মারধর করেন। আহত বাসচালক ঝালকাঠি এসে সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। ঝালকাঠি আন্তজেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন বিষয়টি নিয়ে সংগঠনের কার্যালয়ে বৈঠক শেষে বাসচালক নান্না সিকদারকে মারধরের ঘটনার বিচার এবং জানমালের নিরাপত্তার দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ঘোষণা দেয়। ঘটনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত এ ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দেন শ্রমিক নেতারা।
এদিকে ধর্মঘটের কারণে বরিশাল, খুলনা, পিরোজপুরসহ অভ্যন্তরীণ ছয়টি পথে দুদিন ধরে বাস চলাচল বন্ধ ছিল। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়ে এসব পথে চলাচলকারী যাত্রীরা।
এদিকে চিকিৎসাধীন বাসচালক নান্না সিকদার অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাকে মারধর করার পরও তারা কোনো খোঁজখবর নেয়নি। বাস ধর্মঘটে দক্ষিণাঞ্চল প্রায় অচল হয়ে যাওয়ার পরও পিরোজপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান খালেক প্রতিকারের বিষয়ে আমাদের সংগঠনের সঙ্গে কোনো আলোচনা করেননি।’