শৌচাগার নেই ঝালকাঠির ১৬৪ পরিবারের

ঢাকা পৌরসভার পর পরই ১৯৬৫ সালে ঝালকাঠির নলছিটি পৌরসভা প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রাচীন এ পৌরসভাটি ব্যবসা-বাণিজ্যে সমৃদ্ধ। তবে, তৃতীয় শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত হলেও দীর্ঘদিনের স্যানিটেশন সমস্যার সমাধান হয়নি পৌরবাসীর।
এখনো পৌরসভার ১৬৪ পরিবারের শৌচাগার নেই। গতকাল বুধবার সকালে ব্র্যাকের ‘ওয়াশ’ কার্যক্রমের আওতায় নলছিটি পৌরসভা মিলনায়তনে ওয়াটার, স্যানিটেশন অ্যান্ড হাইজিন কর্মসূচির এক অ্যাডভোকেসি কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়।
স্থানীয়দের সহযোগিতায় এ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ব্র্যাকের কর্মীরা প্রায় ৯ মাস জরিপ চালিয়ে এ তথ্য সংগ্রহ করেন।
কর্মশালার তথ্যানুযায়ী নলছিটি পৌরসভায় মোট জনসংখ্যা ২৮ হাজার ৩৮৭ জন, পরিবারের সংখ্যা ছয় হাজার ২৭৮। এর মধ্যে ১৬৪ পরিবারেই শৌচাগার নেই। নদী, খাল ও ড্রেনের সঙ্গে সংযোগ দেওয়া শৌচাগার রয়েছে ১৮৬টি। অস্বাস্থ্যকর শৌচাগারের সংখ্যা দুই হাজার ৮৭৩টি। ওয়াটারসিল-বিহীন শৌচাগার রয়েছে দুই হাজার ২৪৪, আর স্ল্যাব-ভাঙা আছে ১২৮টির। পৌরসভাটিতে স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার রয়েছে মাত্র দুই হাজার ৮৭৩টি।
এসব তথ্য জানার পর পৌর মেয়র মো. তছলিম উদ্দিন চৌধুরী আগামী এক বছরের মধ্যে শতভাগ স্যানিটেশনের সাফল্য নিশ্চিত করা হবে বলে জানান।
কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ঝালকাঠির সহকারী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো. নুরুজ্জামান, ব্র্যাকের ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধি আব্দুস সামাদ, জেলা ব্যাবস্থাপক (ওয়াশ) মো. জাহিদুল ইসলাম, নলছিটি উপজেলা ব্যবস্থাপক (ওয়াশ) জহুরুল আলম, ঝালকাঠি সদর উপজেলা ব্যবস্থাপক (ওয়াশ) আনোয়ার হোসেন খান, নলছিটি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের প্রধান শিক্ষক জলিলুর রহমান আকন্দ, নলছিটি ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মল্লিক মনিরুজ্জামান, ও পৌর কাউন্সিলর খান জামাল উদ্দিন।