শতকোটি টাকার গম আত্মসাৎ, ব্যবসায়ী কারাগারে
জালিয়াতির মাধ্যমে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের শতকোটি টাকার গম আত্মসাতের মামলার অন্যতম আসামি ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। চট্টগ্রামের মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালত আজ বুধবার এই আদেশ দেন।
ঢাকার রোকেয়া অটোমেটিক ফ্লাওয়ার মিলের মালিক সাইফুল ইসলাম আজ চট্টগ্রামের আদালতে আত্মসমর্পণ করে আগাম জামিনের আবেদন করেন। খুলনার হাজি আশরাফ আলী অ্যান্ড সন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ আজিজুল ইসলাম পাঁচজনের নামে গত ৩১ মে চট্টগ্রামের বন্দর থানায় এই মামলা করেন।
মামলার বাদী শেখ আজিজুল ইসলাম জানান, এর আগে এই মামলাটি চট্টগ্রাম দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক এ এইচ এম আখতারুজ্জামান তদন্ত করছিলেন। পরে মামলার তদন্তভার বন্দর থানার ওপর ন্যস্ত করা হয়। থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সঞ্জয় কুমার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত হন।
বন্দর থানার এসআই সঞ্জয় কুমার জানান, বুধবার এই মামলায় আত্মসমর্পণ করে আগাম জামিনের আবেদন করেন সাইফুল ইসলাম। কিন্তু আদালত পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক আগাম জামিন না দিয়ে তাঁকে জেলহাজতে পাঠান। সাইফুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৃহস্পতিবার রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
সঞ্জয় কুমার জানান, শতকোটি টাকার গম আত্মসাৎ ঘটনার মূল আসামি জে কে শিপিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুল ইসলাম, তাঁর ছেলে নূরুল ইসলাম, আক্তারুজ্জামান খান মামুন ও মালেক মাঝিকে গ্রেপ্তারের জন্য সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
গত জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের শতকোটি টাকার গম আত্মসাৎ শিরোনামে একাধিক সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। এই সংবাদ প্রকাশের পরই ঊর্ধ্বতন মহলের নির্দেশে মামলা তদন্তের দায়িত্ব বন্দর থানাকে দেওয়া হয়। তার আগে দুদক এই আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য একাধিক অভিযান পরিচালনা করে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের জন্য ৩৩ হাজার টন গম চট্টগ্রাম বন্দরে আনা হয়। কিন্তু সেই গম খাদ্য মন্ত্রণালয়ে সরবরাহ না করে গোপনে ঢাকার রোকেয়া অটোমেটিক ফ্লাওয়ার মিলের মালিক সাইফুল ইসলামের কাছে বিক্রি করে শতকোটি টাকা আত্মসাৎ করে এই চক্র।