কোয়ালিটি আইসক্রিমের ‘কোয়ালিটি’ নেই, জরিমানা

মেয়াদ উত্তীর্ণ উপাদান দিয়ে কোয়ালিটি ব্র্যান্ডের আইসক্রিম প্রস্তুত করার দায়ে সানোয়ারা ড্রিংকস অ্যান্ড বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রিজ কারখানার পাঁচ কর্মকর্তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও শিল্প এলাকার সানোয়ারা ড্রিংকস অ্যান্ড বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রিজের কারখানায় এ আভিযান চালায় র্যাব-৭।
সানোয়ারা ড্রিংকস অ্যান্ড বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড সানোয়ারা গ্রুপ অব কোম্পানিজের একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নূরুল ইসলাম বিএসসির পরিবারের মালিকানাধীন। মন্ত্রীর শপথ নেওয়ার পর থেকে তিনি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব থেকে বিরত আছেন বলে তাঁর ছেলে ও সানোয়ারা ড্রিংকস অ্যান্ড বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রিজ কারখানার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাহেদুল ইসলাম জানিয়েছেন।
র্যাব-৭ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ভেজাল মেয়াদ উত্তীর্ণ উপাদান দিয়ে কোয়ালিটি ব্র্যান্ডের আইসক্রিম তৈরি করছিল সানোয়ারা ড্রিংকস অ্যান্ড বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রিজ। এমন খবরের ভিত্তিতে আজ কারখানায় অভিযান চালিয়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ উপাদান দিয়ে আইসক্রিম তৈরির প্রমাণ মেলে। এ সময় কারখানার কর্মকর্তারা মেয়াদ উত্তীর্ণ কেমিক্যাল ব্যবহারের ব্যাপারে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানের পাঁচ কর্মকর্তাকে দায়ী করা হয়েছে।
র্যাব ৭-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক সোহেল মাহমুদ জানান, অভিযানের সময় সানোয়ারা ডিংকস অ্যান্ড বেভারেজ কারখানার জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক এম এম হোসাইন, ব্যবস্থাপক মো. আনোয়ারুল্লাহ, মো. শহীদুল্লাহ, মো. হেলাল উদ্দিন ও আবদুল্লাহ আল হাসানকে দুই লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযানে অংশ নেওয়া বিএসটিআইয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাফায়েত হোসেন জানান, প্রতিষ্ঠানটি কোয়ালিটি আইসক্রিম, দুধসহ বিভিন্ন পণ্য তৈরি করে। বিভিন্ন পণ্যের মান নিয়ে অভিযোগ থাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
অভিযানে অংশ নেন র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিসুর রহমানও। তিনি জানান, অভিযানের সময় মেয়াদ উত্তীর্ণ ২৯ প্যাকেট স্ট্রবেরি ট্রপিং, এক কার্টন ড্রাক কম্পাউন্ড চকলেট এবং ২০ কেজি হানি রিটেল জব্দ করে ধ্বংস করা হয়।
সানোয়ারা ড্রিংকস অ্যান্ড বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রিজ কারখানার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাহেদুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনের কাছে দাবি করেন, র্যাবের অভিযানে উদ্ধার করা মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য তাঁরা আগেই নালায় ফেলে দিয়েছিলেন। তাঁরা নিয়মিত পণ্যের উপাদান পরীক্ষা করেন এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য নষ্ট করে ফেলেন। ভেজাল ও মেয়াদ উত্তীর্ণ উপাদান দিয়ে পণ্য তৈরির অভিযোগ অসত্য বলে দাবি করেন তিনি।