খুলনায় দরিদ্রদের জন্য চাল মাপে কম দেওয়ায় আ.লীগ নেতার দণ্ড

খুলনায় হতদরিদ্রের মাঝে দেয়া ১০ টাকা কেজি চালে মাপে কম দেয়ার অভিযোগে এক ডিলারের ২০ হাজার টাকা জমিরানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। অনাদায়ে তাকে দুই মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
দণ্ডিত ওই ডিলার দিঘলিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শেখ মকবুল হোসেন। শুক্রবার দিঘলিয়া উপজেলা সদরের চার রাস্তার মোড়ে চাল কম দেওয়ায় সময় তাকে আটক করে পুলিশ। পরে ওই দিন বিকালেই ভ্রাম্যমান আদালত তাকে এই সাজা দেন।
ঘটনাটি ধামাচাপা দিয়ে ডিলার মকবুলকে রক্ষার জন্য নানা চেষ্টা করেও উপজেলা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফিরোজ মোল্লা ব্যর্থ হয়েছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
অভিযোগে জানা গেছে, দিঘলিয়া উপজেলা সদরের চৌরাস্তার মোড়ে আওয়ামী লীগের ওই নেতার ডিলারশীপের দোকান রয়েছে। সেখানে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে চাল বিক্রির সময় ৩০ কেজির জায়গায় কয়েক কেজি কম দিচ্ছিলেন তিনি। এর মধ্যে চাল নিতে আসা এক কার্ডধারী সদস্যকে সাড়ে ৬ কেজি চাল দিলে ওই ব্যক্তি বিষয়টি ডিলারকে জানান। এ অভিযোগে পাত্তা না দেওয়ায় সেখানে হইচই শুরু করেন চাল কম পাওয়া ওই ব্যক্তি।
এর এক পর্যায়ে সন্দেহবশত আমেলা বেগম, জয়নাব বেগম, টিটো জমাদ্দার, বাবুল ফকির ও ওয়াজেদ হাওলাদারসহ অন্তত নয়জন চাল পাওয়া কার্ডধারী সদস্য নিজেদের চাল পরিমা করতে গিয়ে কয়েক কেজি করে কম পান। খবর পেয়ে পুলিশ তাঁদের থানায় নিয়ে বিষয়টির সত্যতা পান।
এর পর শুক্রবার বিকালে অভিযুক্ত ও অভিযোগকারীদেরকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিষ্ণুপদ পালের দপ্তরে পাঠানো হয়। পরে বিষ্ণুপদ পালের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত ডিলার শেখ মকবুল হোসেনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে দুই মাসের কারাদণ্ড দেন। তবে তাৎক্ষনিক ওই ডিলার জরিমানার টাকা পরিশোধ করলে তাকে মুক্তি দেয়া হয়।
এ বিষয়ে দিঘলিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিষ্ণুপদ পাল বলেন, ‘ডিলার মকবুল নয়জন কার্ডধারীকে চাল কম দিয়েছিল-এ অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাকে দণ্ড দেয়া হয়েছিল।’
১০ টাকা কেজি দরের চাল পাওয়ার তালিকায় ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে এর আগে দিঘলিয়া উপজেলায় কয়েক দিন চাল বিতরণ বন্ধ ছিল। এ ছাড়া ভিজিএফ’র চাল আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি ইউপি চেয়ারম্যান গাজী জিয়াউর রহমানকে গ্রেফতার করেছে দুদক।