চুয়াডাঙ্গায় মুক্তিযোদ্ধা ভবন থেকে ক্লিনিক সরানোর দাবি

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন ক্লিনিককে ভাড়া দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই ভবনের সামনের সড়কে আলমডাঙ্গা যুব সমাজের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
এ কর্মসূচি থেকে দ্রুত মুক্তিযোদ্ধা ভবন থেকে ক্লিনিক সরানোর দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে যুব সমাজের পক্ষে সাদেকুর রহমান পলাশ বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে ক্লিনিক স্থাপন করায় ভবনটির নিজস্বতা হারিয়ে যাবে। ভবনটিতে ক্লিনিক হলে কমপ্লেক্সের পাশের মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চ ও উপজেলা মঞ্চ ব্যবহার করা যাবে না। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ঝিমিয়ে পড়বে। তাই, অবিলম্বে সেখান থেকে ক্লিনিক সরিয়ে অন্য স্থানে ক্লিনিক করার দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার শফিউর রহমান জোয়ার্দ্দার সুলতান জানান, মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে ক্লিনিক হিসেবে ভবনের নিচতলা ও দোতলা ভাড়া দেওয়া হয়েছে। এ জন্য চার লাখ টাকা নিরাপত্তা জামানত ও মাসিক ১৫ হাজার টাকা ভাড়ায় চুক্তি হয়েছে। প্রতি বছর ভাড়া বাড়বে। ২০ বছরের জন্য চুক্তির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মঞ্চ ব্যবহার করলে ক্লিনিকের কোনো অসুবিধা হবে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজাদ জাহান জানান, সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতির পরই ভবনটি ভাড়া দেওয়া হয়েছে। এতে কোনো আইন অমান্য হয়নি।
ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম রেজা জানান, ক্লিনিক চালুর বিষয়ে এখনো কোনো অনুমোদন মেলেনি। সিভিল সার্জনের কাছে আবেদনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সিভিল সার্জন ডা. ছিদ্দিকুর রহমান জানান, পপুলার মেডিকেল সেন্টার প্রাইভেট নামে কোনো প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়নি। অনুমোদনের আগে কেউ ক্লিনিক চালু করলে তা অবৈধ হবে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত ১৮ নভেম্বর আলমডাঙ্গা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স তিনতলা ভবনের নিচতলা ও দোতলা ভাড়া নেওয়া ভবনটি ক্লিনিক হিসেবে চালু করা হয়। এই ভবনটি ২০১৫ সালের ১১ অক্টোবর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক উদ্বোধন করেন।