রাজাপুরে মুক্তিযোদ্ধা হত্যায় আ.লীগ নেতাসহ রিমান্ডে ৬

ঝালকাঠির রাজাপুরে মুক্তিযোদ্ধা আবদুস ছালাম খান হত্যা মামলায় প্রধান আসামি আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাচ্চুসহ ছয়জনকে রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ঝালকাঠির জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম রুবাইয়া আমিন এ আদেশ দেন।
আজ মুক্তিযোদ্ধা হত্যা মামলার চার আসামি আত্মসমর্পণ করেন। রাজাপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বাচ্চু, ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি শাহ আলম হাওলাদার, হুমায়ুন কবির ও মান্নান ফরাজী। রাজাপুর থানা পুলিশ তাদের পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করেছিল।
একই মামলার দুই আসামিকে পুলিশ আগেই গ্রেপ্তার করেছিল। তাঁরা হলেন-ফারুক মুন্সি ও মোতালেব মোল্লা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ নভেম্বর বিকেলে মুক্তিযোদ্ধা সালামকে রাজাপুরের সাতুরিয়া ইউনিয়নের আমতলা ঈদগাহ মাঠের পাশে পেটায় দুর্বৃত্তরা। পরের দিন সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। নিহত সালাম ভাণ্ডারিয়ার শিয়ালকাঠি এলাকার বাসিন্দা ও একজন অবসরপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক ছিলেন।
পুলিশ ও নিহত সালামের পরিবার জানায়, তিনি ভাণ্ডারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে সম্প্রতি অবসর নেন। তিনি এলাকায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। ভাণ্ডারিয়ায় বাবার নামে মরহুম আবদুর রহমান খান কিন্ডারগার্টেন স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। ওই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষিকা নিয়োগ-সংক্রান্ত কাজে গত ১৪ নভেম্বর রাজাপুরের সাতুরিয়ায় গ্রামে তাঁর আত্মীয় ও স্কুলশিক্ষিকা মরিয়ম আক্তার মুক্তার বাড়িতে যান। বিকেলে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বাচ্চু ও তাঁর সহযোগী শাহ আলম হাওলাদারের নেতৃত্বে আসামিরা মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালামকে ডেকে নিয়ে আমতলা ঈদগাহ মাঠের কাছে হামলা চালায়। পরে হামলাকারীরা তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় ভাণ্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ সময় হামলাকারীরা ওই মুক্তিযোদ্ধা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন বলে হাসপাতালে তাঁর ভুয়া নাম-ঠিকানা লিখে ভর্তি করে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে শামসুল আলম খান মুরাদ ১৫ নভেম্বর বাদী হয়ে আটজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। ১৮ নভেম্বর রাতে পুলিশ সাতুরিয়া ইউনিয়নের উত্তর তাঁরাবুনিয়া গ্রাম থেকে সন্দেহভাজন ফারুক মুন্সি ও মোতালেব মোল্লাকে গ্রেপ্তার করে।