ডাকাতির ৪২ ভরি সোনা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৬

ঝালকাঠি শহরের বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মুসলিম গিনি হাউজ নামে একটি জুয়েলার্সের দোকানে ডাকাতির ঘটনায় দুটি মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে দোকান মালিকের ছেলে হাসান ইমাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন। একটি ডাকাতির ঘটনায় এবং অপরটি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলা পুলিশ রাতেই থানায় লিপিবদ্ধ করে।
এদিকে লুট হওয়া ১১৭ ভরি স্বর্ণালংকারের মধ্যে গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতদের কাছ থেকে ৪২ ভরি উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে শহরের ডাক্তারপট্টি এলাকায় এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এক নারীসহ ছয়জনকে আটক করে।
অন্যদিকে আজ মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের পরিচয় জানিয়েছে পুলিশ। এঁরা হলেন মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মো. তৌহিদুল ইসলাম ও সিরাজুল ইসলাম। সন্দেহভাজন হিসেবে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে শান্তা ইসলাম, কাজী রানা, রুবেল হাওলাদার ও মো. সনি নামের চারজনকে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও মামলার বিবরণে জানা যায়, শহরের সাধনার মোড় থেকে সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে তিনটি মোটরসাইকেলে করে সাত-আটজন মুখোশধারী ব্যক্তি ডাক্তারপট্টি এলাকার স্থানীয় শাহজাহান হাওলাদারের মুসলিম গিনি হাউজের সামনে অবস্থান নেয়। তারা পরপর আটটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পুরো এলাকা বোমার শব্দে প্রকম্পিত হলে পাশের অন্য দোকানগুলো বন্ধ করে দেয় মালিকরা। ডাকাতদল মুসলিম গিনি হাউজে ঢুকে মালিক ও কর্মচারীদের দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। বাধা দিলে সোনার দোকানের মধ্যেও একটি বোমার বিস্ফারণ ঘটায় ডাকাতরা। তারা দোকানের ব্যবস্থাপককে মারধর ও শোকেজ ভাঙচুর করে। ডাকাতদল দ্রুত দোকান থেকে ৫০ লাখ টাকা মূল্যের ১১৭ ভরি সোনার গয়না লুটে নেয়। পালিয়ে যাওয়ার সময় গাবখান সেতুর টোলঘর এলাকা থেকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় এক নারীসহ ছয়জনকে আটক করে পুলিশ।
ঝালকাঠির পুলিশ সুপার মো. জোবায়েদুর রহমান বলেন, ‘আমরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এক নারীসহ ছয়জনকে আটক করেছি। তাদের মধ্য থেকে দুজনকে দুটি মামলায় আসামি করা হয়েছে। অন্যদের ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’