চুয়াডাঙ্গায় একজন ভোটার নিয়ে একটি ওয়ার্ড, কেন্দ্র

চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা এবং ১৫টি ভোটকেন্দ্রের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এখানে মোট ভোটার ৪৫১ জন।
এর মধ্যে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে একজন মাত্র ভোটার, আর তাঁর জন্যই জীবননগর মনোহরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একটি কেন্দ্র গঠন করা হয়েছে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বলেন, জীবননগর উপজেলার সাবেক উথলী ইউনিয়ন ভেঙে তিনটি ইউনিয়ন গঠন করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে উথলী, মনোহরপুর ও কেডিকে। এর মধ্যে উথলী ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও নির্বাচন হয়নি। ফলে এখানকার চেয়ারম্যান ও সদস্যরা জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটার হতে পারেননি।
অপরদিকে মনোহরপুর ও কেডিকে নতুন ইউনিয়ন হিসেবে গেজেট প্রকাশিত হলেও এখানে কোনো নির্বাচন হয়নি। ফলে এখানে কোনো ভোটার নেই। তবে জীবননগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানের বাড়ি উথলী ইউনিয়নে। ফলে তিনিই এখানকার একমাত্র ভোটার।
আগামী ২৮ ডিসেম্বর জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট হবে। ৪৫১ জন ভোটারের মধ্যে পুরুষ ৩৪৬ এবং মহিলা ১০৫ জন। তবে, তিন নম্বর ওয়ার্ডে কোনো ভোটার নেই। সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সংখ্যা পাঁচটি। মোট ভোটকক্ষের সংখ্যা ২৭। সংরক্ষিত ওয়ার্ড ১ নম্বরে ৬৬, ২ নম্বরে ৯৩, ৩ নম্বরে ১১৮ , ৪ নম্বরে ৯৩ এবং ৫ নম্বরে ৮১ জন ভোটার।
জেলা পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটকেন্দ্র চুয়াডাঙ্গা টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ৪১ জন। ২ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটকেন্দ্র কুশোডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটার সংখ্যা ২৫, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের খাড়াগোদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ১৩, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আলমডাঙ্গার মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪১, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোষবিলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩৯, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোলদাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩৯, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের হারদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪০, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আসমানখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩৯, ১০ নম্বর ওয়ার্ডের দর্শনা সরকারি কলেজ ২৭, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের দামুড়হুদা মাধ্যমিক পাইলট বালিকা বিদ্যালয় ২৭, ১২ নম্বর ওয়ার্ডের নাটুদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৩৯, ১৩ ওয়ার্ডের জীবননগর বহুমুখী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৪১, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের রায়পুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩৯ এবং ১৫ নম্বর মনোহরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১ জন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান আরো জানান, সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র, তিতুদহ ও বেগমপুর এবং এর সঙ্গে নবগঠিত গড়াইটুপি, মাখালডাঙ্গা ও নেহালপুর, দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ও পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়ন পরিষদগুলোর মেয়াদোত্তীর্ণ ও কার্যক্রম না থাকায় ওই সব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা কেউই ভোটার হতে পারেননি।