মরিয়া প্রমাণ করলেন তিনি নিহত হননি!

হত্যা মামলা দায়ের করার পাঁচদিন পর মারা গেলেন নরসিংদী সদর উপজেলার দক্ষিণ শিলমান্দী গ্রামের বাসিন্দা মমতাজ বেগম (৫০)। গ্রামের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়ে এতদিন তিনি ঢাকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি মারা গেছেন তা জানিয়ে তাঁর ছেলে মো. ওমর ফারুক সরকার গত ৯ ডিসেম্বর হত্যা মামলা করেছিলেন।
আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মমতাজ। অসুস্থ মা নিহত হয়েছে বলে ওমর ফারুক মামলার পাশাপাশি পাঁচদিন আগেই মমতাজের জন্য কবরও খুঁড়ে রাখেন!
দক্ষিণ শিলমান্দী গ্রামে গত ৯ ডিসেম্বর জমি নিয়ে মমতাজ বেগমের ছেলে ওমর ফারুকের সঙ্গে জাকির হোসেনের লোকজনের সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন মমতাজ। ওমর ফারুক তাঁর মা মমতাজকে প্রথমে ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতাল, পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
হত্যা মামলা তদন্ত শুরু করেন সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম। তদন্ত করতে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, মমতাজ বেগম হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এসআই আমিনুল ইসলাম জানান, মামলা দায়েরের পর ওই দিনই ওমর ফারুক তাঁদের পারিবারিক কবরস্থানে মা মমতাজ বেগমের জন্য কবর খোঁড়েন।
এদিকে ওমর ফারুক আজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার মা আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মারা গেছেন।’
সন্ধ্যার দিকে মমতাজ বেগমের লাশ তাঁর গ্রামের বাড়ি দক্ষিণ শিলমান্দী গ্রামে নেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘বিষয়টির তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে বাদীর বিরুদ্ধে ২১১ ধারায় মামলা দায়ের করা হবে।’
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম বলেন, ‘মিথ্যা মামলা রুজুর বিষয়টি আমি শুনেছি। তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মিথ্যা মামলা রুজুর সঙ্গে জড়িতদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।’