মাতুয়াইলে আরেকটি বাসে আগুন
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2023/07/29/baase-aagun.jpg)
রাজধানীর মাতুয়াইলে স্বদেশ পরিবহণ এবং স্টার লাইন পরিবহণে আগুন লাগার পরে আরেকটি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার (২৯ জুলাই) দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটের পরে এ বাসে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।
নতুন করে আগুন লাগা বাসটি ঢাকা-ভৈরব রুটে চলাচল করা তিশা পরিবহণ। অগ্নিকাণ্ডের পরে মাতুয়াইলের পাশের সান্টু ফিলিং স্টেশনের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। তবে, বাসটি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ নিয়ে এ এলাকায় তিনটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটল।
তিশা পরিবহণের চালক মো. সানাউল্লাহদ্দিন বলেন, ‘হঠাৎ করে মোটরসাইকেলে তিনজন এসে দুজন গাড়ির ভেতরে ঢুকে আমাকে টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে দিয়েছে। এরপর পেট্রোল ঢেলে ভেতরে আগুন ধরিয়ে দেয়। আশপাশে তো পুলিশও ছিল। আমি জানের ভয়ে দূরে সরে গেছি।’
আজ সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর প্রবেশমুখে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিকে ঘিরে শনিরআখড়ায় পুলিশ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে রূপ নেয়। আর এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এসময় পুলিশ কাঁদানে গ্যাস শেল নিক্ষেপ করে। পুলিশের সঙ্গে চলে বিএনপির নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে বিএনপি নেতাকর্মীরা রাস্তা বন্ধ করে সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাস শেল ছুড়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। তখন পরিস্থিতি রণক্ষেত্রে রূপ নেয়।
বিএনপি-আওয়ামী লীগের অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজধানীর সব প্রবেশমুখে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। রাজধানীর গাবতলী, উত্তরা, যাত্রাবাড়ী ও কেরাণীগঞ্জে ঢাকার প্রবেশমুখে বাড়তি নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এসব প্রবেশমুখে দুই দলের নেতাকর্মীদের অবস্থান উপলক্ষে পুলিশের সতর্ক অবস্থান দেখা গেছে।