ব্রিকসে অন্তর্ভুক্ত না হওয়া নিয়ে আশাহত হওয়ার কোনো কারণ নেই : পররাষ্ট্র সচিব
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2023/08/28/maasud-bin-meaamen_0.jpg)
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, উন্নয়নশীল অর্থনীতির ব্রিকস ব্লকে বাংলাদেশ অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় আশাহত হওয়ার কোনো কারণ নেই। কারণ বাংলাদেশ আগে থেকেই ব্রিকসের নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এনডিবি) অংশ। গতকাল রোববার (২৭ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘রাজনৈতিক ও আঞ্চলিক অনেক বিষয় রয়েছে এবং ভারসাম্য রক্ষার বিষয় রয়েছে। যদি তারা (ব্রিকস) গত ১৫ বছরে ব্রিকসের বাস্তব ফলাফলের দিকে তাকান, শুধু তাদের উল্লেখযোগ্য অর্জন হলো এনডিবি। যেহেতু আমরা এনডিবির একটি অংশ রয়েছি, তাই হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই।’
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘এটি প্রথম পর্যায় এবং পরবর্তী পর্বে বাংলাদেশ অন্তর্ভুক্ত হবে বলে আশাবাদী। সুতরাং আমাদের আরও সময় আছে। ভৌগোলিক ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা ছিল এবং আমরা ছাড়াও আরও আগ্রহী দেশ ছিল। কিন্তু তারাও (ব্রিকস) সদস্যপদ পায়নি। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।’
ইরান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, আর্জেন্টিনা, মিশর ও ইথিওপিয়া ছিল সদ্য সমাপ্ত সম্মেলনে ব্রিকসে যোগদানের জন্য আমন্ত্রিত ছয়টি দেশ। এই দেশগুলো ১১-জাতির ব্লক তৈরি করতে ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ব্রিকসে যোগ দিতে প্রস্তুত।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা জোহানেসবার্গে আয়োজিত শীর্ষ সম্মেলনে দুই দিনের আলোচনায় অংশ নেয়। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ভার্চুয়ালি আলোচনায় অংশ নেন। এরপর নতুন করে ছয়টি দেশকে আমন্ত্রণের ঘোষণা দেওয়া হয়।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট মাতামেলা সিরিল রামাফোসার আমন্ত্রণে ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ব্রিকস একটি ঐকমত্য-ভিত্তিক সংস্থা, যার সিদ্ধান্তে সব সদস্যদের একমত হওয়া প্রয়োজন।
২০০৯ সালে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত ও চীনকে নিয়ে এই ব্লকটি গঠিত হয়েছিল এবং ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা এতে যোগ দেয়।